কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরেই আত্রেয়ীর উপরে কালিকাপুর-রঘুনাথপুরের সংযোগকারী সেতুর দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু সেতু আর হয়নি। ভোটের আগে এই দাবি ফের জোরালো হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁকো থেকে প্রেমিক যুগলের পড়ে যাওয়ার ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসী। ওই দিনই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সাঁকোয় আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। যদিও পুলিসের তৎপরতায় পরিস্থিতি গুরুতর আকার নেয়নি।
এলাকার বাসিন্দা সুনীল রায় ও সুজিত সরকার বলছেন, আমরা সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবছর পারাপার করি। বর্ষায় সাঁকো ভেসে চলে যায়। ফলে শহরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয় শহরে।
সুজিতের দাবি, বিগত দিনে পাকা সেতুর দাবিতে মন্ত্রী, সাংসদ সবাই ঘুরে গিয়েছেন। আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। কবে সেতু হবে জানেন না এলাকাবাসী। এদিকে এই ঘাটে সেতু তৈরি করা অসম্ভব, বলছেন বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল সভাপতি কৌশিক চৌধুরী। তাঁর যুক্তি, কিছুটা দূরেই পাগলীগঞ্জে বিশাল সেতু হয়েছে। তবে সেই জায়গায় ফুট ব্রিজের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল ব্লক সভাপতিও।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, বর্তমান তৃণমূল সরকার কালিকাপুরে সেতু তৈরির ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।
বালুরঘাটের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েত ও বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর, ডাকরা, ফুলঘড়া, বোয়ালদার সহ বহু গ্রামের মানুষ কালিকাপুরের সাঁকো পেরিয়েই রঘুনাথপুর হয়ে শহরে প্রবেশ করেন। কৃষি প্রধান ওই গ্রামগুলি থেকে প্রতিদিন সকাল হলেই সবজি আসে শহরে। তাই সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে কৃষকরা। এমনকী নদী পার হলেই রঘুনাথপুর এলাকায় জেলা সদর হাসপাতাল। নড়বড়ে সাঁকো দিয়েই এলাকার বাসিন্দারা শহরে আসেন। এদিকে আত্রেয়ীতে ড্যামের কারণে সবসময় জল বেশি থাকে। ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে পারাপার হতে হচ্ছে।