কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মেলায় মুখোশ বিক্রির স্টলের ব্যবস্থা থাকে। তা সত্ত্বেও সেভাবে এখনও পরিচিতি না থাকায় মিলছে না মুখার অর্ডার। এদিকে কুশমণ্ডির মুখোশ শিল্পীরা প্যারিস, লন্ডনে গিয়ে তাঁদের হাতের কাজ দেখিয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন। একটা সময় রাজ্য সরকারের বিশ্ব বাংলার মাধ্যমে মুখোশ বিক্রি হতো। চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। বর্তমানে বিশ্ব বাংলা থেকেও মিলছে না মুখোশের অর্ডার।
কুশমণ্ডির মহিষবাথান মুখোশ হস্ত সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। একটা সময় প্রতিদিন সমবায়ে প্রায় ৫০ জন শিল্পী কাজ করতেন। এখন ১০ থেকে ১৫ জন শিল্পী সমবায়ে এবং নিজেরা মুখোশ তৈরি করছেন। বাকি শিল্পীরা মুখোশ তৈরির কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে গিয়েছেন। রাজ্য সরকারের তরফেও মিলছে না উৎসাহ ভাতা।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে শাসক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এসে শিল্পীদের খোঁজ নিচ্ছেন। মিলছে ঢালাও প্রতিশ্রুতি। তবে পাঁচ বছরে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার থেকে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র একবারও শিল্পীদের খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ।
কুশমণ্ডির মহিষবাথান মুখোশ হস্ত সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে ভোট প্রচারে এসে মুখোশের উন্নয়নের কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সমবায়ে আমাদের পরিকাঠামো রয়েছে। শিল্পীদের জন্য উন্নতমানের যন্ত্রাংশ আনা ও মুখোশ গোটা বিশ্বে বিক্রির ব্যবস্থা করলে শিল্পীরা বাঁচবেন।
মুখোশ শিল্পী পরেশ বলেন, আমাদের সমস্যার কথা তৃণমূল, বিজেপি দুই প্রার্থীকেই জানিয়েছি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ওয়েবসাইট থেকে মাঝেমধ্যে অর্ডার পাচ্ছেন মুখোশ শিল্পীরা। তবে যা বিক্রি হচ্ছে বা বরাত মিলছে, তাতে পেটের ভাত জোটানোই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে শিল্পীদের।
তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, আমাদের সরকার শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন। সরকার শিল্পীদের মেলায় মুখোশ বিক্রি থেকে সংস্থার মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে শিল্পীদের দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি সাংসদ মুখোশ শিল্পীদের জন্য কোনও কাজ করেননি।
যদিও তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্যকে পাত্তা দেননি বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার।
বলেছেন, শিল্পীদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০টি মুখোশের উপর। রাজ্য সরকার প্রকল্প পাঠালে তবেই কেন্দ্র কাজ করতে পারে। বিশ্বের বাজারে জেলার যাতে মুখোশ বিক্রি হয় এবং শিল্পীদের সুদিন ফেরে, সেজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।