পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যা উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের উপর বিস্তৃত। এর জেরে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫- ৬ ডিগ্রি কমে গিয়েছে। পাহাড়ে হালকা বৃষ্টিপাত ও তুষারাপত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও এক-দু’দিন বিভিন্ন এলাকা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে মঙ্গলবার থেকে শিলিগুড়িতে শীতের দাপট শুরু হয়েছে। গতকালের মতো এদিনও কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল গোটা এলাকা। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। এতে শীত আরও জাঁকিয়ে বসেছে। তবে গতকালের তুলনায় এদিন কুয়াশার দাপট কিছুটা কম ছিল, বৃষ্টি হয়নি। তাপমাত্রার পারদ অবশ্য নিম্নমুখী।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন তা কমে দাঁড়ায় ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। এদিন এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাগডোগরা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বুধবার কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ১৮ জোড়া বিমান চলাচল করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, এদিন মুম্বই থেকে আসা বিমানটি সকাল ৯টার পরিবর্তে দুপুর দেড়টায় এসেছে। তবে এদিন ১২ জোড়া উড়ান চলাচল করেছে। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সুব্রমণি পি বলেন, আবহাওয়ার জেরে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। ১৮ জোড়া বিমান বাতিল করতে হয়েছে।
অন্যদিকে, দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের অবস্থা আরও শোচনীয়। এদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল দুই পাহাড়ি শহর। পাহাড়ের কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯.৪ এবং ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুরদুয়ারেও কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ছিল। দিনভর রোদের দেখা মেলেনি। দুপুরের পর একবার রোদের ঝলক দেখা গিয়েছে। এদিকে কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার জেরে আলুতে ধসা রোগের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন জেলা কৃষিদপ্তর। জেলায় আলুতে কোথাও ধসার প্রকোপ শুরু হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বুধবার থেকেই ব্লকে ব্লকে যাওয়া শুরু করেছেন কৃষি আধিকারিকরা। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা হরিশচন্দ্র রায় বলেন, কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়ার জন্য আলুতে ধসার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে কি না সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এদিন কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার আবহাওয়াও ছিল একইরকম। কোচবিহারে সকাল থেকে কুয়াশা ছিল। দুপুরে সামান্য সময়ের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠান্ডা প্রকোপ ছিলই।