পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা অমল রায়, ভূপেন রায় প্রমুখ বলেন, কুয়াশার কারণে সম্ভবত বাইসনটি পথ ভুলে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। তিনজন বাইসনের হামলায় জখম হয়েছেন। একটি গোরুও ঘায়েল হয়েছে। গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের এডিএফও রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয়। সেটি সুস্থই আছে। আমরা বাইসনটিকে গোরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেব।
বুধবার সকালে পানবাড়িতে একটি বাইসন ঢুকে যায়। সেটি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে। বনকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁদেরও অনুমান, কুয়াশার কারণে বাইসনটি দিক ভুল করে লোকালয়ে চলে আসে। স্থানীয়দের দাবি, বাইসনটি জলঢাকা জঙ্গল থেকে এসেছিল। সকাল ৯টা নাগাদ পানবাড়িতে একটি চা বাগানে কাজ করছিলেন দুই মহিলা। বাইসনটি তাঁদের গুঁতো মেরে জখম করে। স্থানীয়রাই দুলারি ওঁরাও ও তেত্তেরি প্রধান নামে ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বাইসনটি বাগানের একটি ঝোপে আশ্রয় নেয়। বাইসন দেখতে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে বাইসনটি ইছলামারি নদীর পাশে ছুটে আসে। সেখানে কার্তিক দেবনাথ নামে এক বাসিন্দাকে জখম করে। তাঁর চোট গুরুতর হওয়ার তাঁকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রামশাই বনদপ্তর এবং ময়নাগুড়ি থানায় পুলিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাইসনটিকে বাগে আনার চেষ্টা করেন। তাতে তাঁরা ব্যর্থ হন। পরে দু’টি কুনকি হাতি নিয়ে আসা হয়। হাতির পিঠে চেপে ঘুমপাড়ানি গুলি করে বাইসনটিকে বনকর্মীরা কাবু করার চেষ্টা করেন। প্রথমে একটি ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। সেটি বাইসনটির গায়ে লাগলেও কাবু না হয়ে উল্টে আরও ছোটাছুটি শুরু করে। সেই সময়ে বাইসনের হামলায় একটি গোরু ঘায়েল হয়। ফের বাইসনটিকে দ্বিতীয়বার ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। এবপর সেটি নিস্তেজ হয়ে যায়। বেলা ৩টে পর বাইসনটিকে বাগে আনতে পারেন বনকর্মীরা।