পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই শীতের দাপটে রাস্তাঘাটে লোকজন বেরিয়েছে কম। কুয়াশার দাপট সেভাবে না থাকলেও সূর্যের তেজ দেখা যায়নি। যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছেন, তাঁরা সকাল থেকেই টুপি, মাফলার, জ্যাকেট, সোয়েটার পরে বেরিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাঝিয়ান কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সাত দিন একইভাবে শীতের কামড় জারি থাকবে গৌড়বঙ্গের তিন জেলাজুড়ে। গৌড়বঙ্গে উত্তরের হাওয়া ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। তার ফলেই তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছে। আগামী সাতদিন গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাঝিয়ান কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সুমন সূত্রধর বলেন, আমাদের জেলাগুলিতে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম দিক জুড়ে হাড়কাঁপানো শীত পড়ে। গত দশ বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। তবে এবারে কনকনে শীত পড়তে অনেকটাই দেরি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়া এখানকার তিন জেলায় প্রবেশ করতেই গৌড়বঙ্গজুড়ে শীতের দাপট বেড়েছে। আগামী সাত দিন এই কনকনে শীতের আমেজ থাকবে। তবে এখনই বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ায় কৃষকদের মুখ ভার। চাষের ক্ষেত্রে এখন বৃষ্টির ভীষণ দরকার, জানাচ্ছেন কৃষকরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কৃষি আধিকারিক আশিসকুমার বারুই বলেন, জেলাজুড়ে রবি শস্য চাষের দিকে মন দিয়েছেন কৃষকরা। তবে এবারে নভেম্বর মাস থেকে বৃষ্টি না হওয়ার ফলে চাষের জমি শুকিয়ে রয়েছে। গম ও ডাল জাতীয় শস্য চাষের জন্য সেচের ভীষণ দরকার হয়ে পড়েছে। এসময় একটু বৃষ্টি হলে কৃষকদের রবি শস্য চাষে সুবিধা হতো। তাঁদের জলসেচের খরচ কমত। তবে হাওয়ায় জলীয় বাষ্পের পমিাণ বেশি থাকলে আবার আলু চাষে সমস্যা দেখা দেয়। আমরা কৃষকদের ব্লক কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।
এদিকে, হঠাৎ করে শীত বেড়ে যাওয়ায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক আলম বলেন, এভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে জ্বরের রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সেইসঙ্গে সর্দি, গলাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কোনওরকম সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। যাঁদের শাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে আগুন পোহানো চলছে বালুরঘাটে। -িনজস্ব চিত্র