পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এদিন তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শুক্রবার হয় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করব, না হয় রাজনীতি ছাড়ব।’ এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দিনহাটার এই তৃণমূল বিধায়ক। ফেসবুকেও তাঁর একাধিক মন্তব্য খবরের শিরোনামে উঠে আসে। তবে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার মতো কথা এর আগে কখনও তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়নি। বিধানসভা ভোটের মুখে শাসক দলের বিধায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম কথা বলায় বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
উদয়ন গুহের আজ, বৃহস্পতিবার বিজেপির দখলে থাকা ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ও কাল, শুক্রবার দিনহাটা-২ ব্লকের নয়ারহাটে বাড়ি বাড়ি দলীয় প্রচার কর্মসূচি রয়েছে। তারআগে বিধায়কের এমন পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদয়ন বলেন, আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করব, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। সেই কর্মসূচির কথা অনেক আগেই ঘোষণা করেছি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকদিন ধরে এ ব্যাপারে হুমকি দিয়ে পোস্ট করা হচ্ছে। সেজন্য আমি ওই কথা লিখেছি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, একদা দিনহাটা বিধানসভা এলকায় উদয়ন গুহের সঙ্গে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মীর হুমায়ুন কবিরের সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। শাসক দলের দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। এখন বিধায়কের বিরোধী বলে পরিচিত হুমায়ুন সাহেব। তাঁর গড় নয়ারহাট। সেখানে কর্মসূচি করতে হলে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে হুমায়ুনের সমর্থন ছাড়া যে সম্ভব নয়, সেটা ভালো করেই জানেন উদয়ন গুহ। কিন্তু বিধানসভা ভোটের দোরগোরায় নয়ারহাটে নিজের বিধানসভা এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গেলে গণ্ডগোল হতে পারে, সেই আশঙ্কাও করছেন তিনি। তাই আগেভাগেই তিনি এমন পোস্ট করেছেন বলে দলেরই একাংশের দাবি।
মীর হুমায়ুন কবির বলেন, উনি এলাকার বিধায়ক। কর্মসূচি তাঁর থাকতেই পারে। আমি বাধা দেওয়ার কে? ডিসেম্বর মাসে তিনি এলাকায় এসে বঙ্গধ্বনি যাত্রা করেছেন। তখন কেউ তাঁকে বাধা দেয়নি। আসলে উনি ভয় পেয়েছেন। মানুষ তাঁকে প্রশ্ন করলে সেই প্রশ্নের যদি উত্তর তিনি দিতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, দিনহাটার নাজিরহাটের শালমারা, নয়ারহাট সহ একাধিক জায়গায় বেশকিছু দিন ধরে বোমাবাজি, বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধর, মোটর বাইকে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিধানসভা ভোটের মুখেও দলের অন্দরে থাকা সেই বিরোধ এখনও মেটেনি। বারবার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে সংগঠনকে মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল।