সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি ও খড়িবাড়ি ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকশো একর জমির ফসল ঝড়বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। করোনা সঙ্কটের মধ্যে এমন দুর্যোগে মাথায় হাত পড়েছে ওইসব এলাকার চাষিদের। এই জ্বলন্ত পরিস্থিতিতে তাঁদের দু’বেলার খাবার জোগাড় করা এখন দায় হয়ে উঠেছে।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলি থেকে একটি রিপোর্ট পেয়েছি। তাতে উল্লেখ রয়েছে, ঝড়ের দাপটে মহকুমার প্রায় ৩৫০ একর কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষতির অঙ্ক হতে পারে ৮০ লক্ষ টাকা। এখনও রাজ্য সরকার কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেনি। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে ওই একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছি। উম-পুন তহবিল থেকে কিছুটা আর্থিক সাহায্য দিলে ভালো হয়। নকশালবাড়ির বিডিও বাপি ধর বলেন, ঝড়ের প্রভাবে ব্লকে প্রায় ১০ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই রিপোর্ট আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাদল সরকার বলেন, ঝড়ের প্রভাবে ব্লকের বিন্নাবাড়ি ও রানিগঞ্জ পানিশালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকশো বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে আমরা পাঠিয়েছি।
শিলিগুড়ি মহকুমার কৃষি আধিকারিক পার্থ রায় বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। তার মূল্যায়ন আমরা শুরু করেছি। যদিও এখনও পর্যন্ত আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে উঠতে পারিনি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্লকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও সেভাবে ক্ষতি হয়নি। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা, মণিরাম ও নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১০০ একর কৃষিজ ফসল নষ্ট হয়েছে। ভুট্টা সহ বিভিন্ন শাকসব্জির ঝড়ে এবং বৃষ্টির জেরে নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে, গত মঙ্গলবারের কালবৈশাখী ঝড়ে নকশালবাড়ি ব্লকে সম্পূর্ণভাবে ১৮টি এবং আংশিকভাবে ৩০০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খড়িবাড়ি ব্লকে সম্পূর্ণভাবে ১০০টি এবং আংশিকভাবে ৬৫০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফাঁসিদেওয়া ব্লকে সম্পূর্ণভাবে ২২টি এবং আংশিকভাবে ৪৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়নি। যদিও এ বিষয়ে সভাধিপতি বলেন, সবকটি ব্লক থেকে রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে শীঘ্রই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।