প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
হার্টের সমস্যায় কয়েক মাস আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে রুটিন মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এই দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকার লক্ষ্যে তিনি সব ভুলে গিয়েছে। তাঁর সাফ কথা, মানুষের এই বিপদের সময়ে তাঁদের পাশে থাকতেই হবে।
শনিবার সকালে রবিবাবুর বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায় গাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী তোলার তদারকি করছেন তিনি। পৌনে ১০টায় তাঁর গাড়ি রওনা দেয় তাঁর বিধানসভার নাটাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মান্তাপাড়ায়। সেখানে প্রায় ১০০টি বেদে সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন তিনি ত্রাণ বিলি করেন। ওই কাজ শেষ হতেই তাঁর গাড়ি রওনা হয় দেওচড়াইয়ের কৃষ্ণপুরে। সেখানেও ত্রাণ বিলি করেন তিনি। সব জায়গাতেই ত্রাণ বণ্টনের পাশাপাশি করোনা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রামবাসীদের দিচ্ছেন। নিজের বিধানসভার ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকায় এখনও পর্যন্ত চার-পাঁচবার গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে এসেছেন। সেই তালিকায় যেমন তাঁতশিল্পী, মৎসজীবী, ক্ষৌরকার, পুরোহিত, অটো, টোটোচালক রয়েছেন তেমনি দিনমুজুর থেকে অন্যান্য নানান পেশার মানুষও আছেন।
মন্ত্রী বলেন, মানুষকে আমি কথা দিয়েছিলাম তাঁদের পাশে থাকব। এতদিন বন্যা, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার মতো দুর্যোগ আসত। সেসব সামাল দেওয়া হত। কিন্তু এবার অন্যরকম পরিস্থিতি। এমন দুর্যোগ আগে কখনও আসেনি। তাই মানুষের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় রেশনের সামগ্রী বিনা পয়সায় দিচ্ছেন। সরকারি ত্রাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহার জেলা পরিষদ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে চাল দিচ্ছে। আমিও দু’মাস ধরে মানুষের পাশে আছি। আগামী দিনেও ওদের পাশে থাকব। আমি মনে করি, মানুষের পাশে থাকলে শরীরের রোগব্যাধি দূর হয়ে যায়।
মান্তাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সামসেল ব্যাপারী বলেন, আমি ফেরি করে সংসার চালাই। দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কাজে বেরতে পারছি না। এদিন মন্ত্রী যে ত্রাণ দিলেন তা কাজে আসবে।
ত্রাণ নিতে এসেছিলেন ওই এলাকারই দলিরল রহমান। ঘরে তাঁর স্ত্রী ও ছ’মাসের মেয়ে রয়েছে। তিনিও কাজে বেরতে পারছেন না। একই অবস্থা দেলহক শেখ সহ আরও অনেকের। ওই এলাকায় ত্রাণের গাড়ি পৌঁছতেই সকলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করেন। করোনার দিনগুলিতে ত্রাণ পেয়ে খুশি গরিব মানুষগুলি।