মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
জেলা পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, যুবতীর পরিচয় জানার জন্য সবরকম প্রয়াস চলছে।
ইংলিশবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, মৃতার পরিচয় জানাটা আমাদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য আমরা গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি। মানুষের সঙ্গে কথা বলে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
ইতিমধ্যে ওই এলাকায় রাতে পুলিসের টহলদারি বেড়ে গিয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে হন্যে হয়ে পুলিস মহিলার মৃত্যুর রহস্য ভেদ করার সূত্র খুঁজেই চলেছে। এদিকে সোমবার ধানতলার ওই আম বাগানের ঘটনাস্থলে যান জেলার ক্রাইম মনিটরিং টিমের সদস্যরা। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের এলাকাও ঘুরে দেখেন।
তবে ঘটনার পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও ওই মৃতার পরিচয় নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে। এতদিনেও পুলিস মৃতার পরিচয় জানতে না পারায় তদন্তের গতি প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, ওই মহিলার হাতের আংটি, বালা ও ট্যাটু ছাড়া সেরকম কোনও বড় সূত্র বা তথ্য তাদের কাছে নেই। ফলে ওই সামান্য দুয়েকটি বিষয়ের উপর ভর করে মৃত মহিলার পরিচয় জানা আর খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজার এখন একই রকম পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিসের বক্তব্য, ঘটনাটির সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বেশ কিছু সিসিটিভির ফুটেজের সন্দেহজনক অংশ কলকাতায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মালদহের বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী রবিবার ওই আম বাগানে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে কালো ফিতে দিয়ে এলাকা ঘিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, কোতোয়ালির ধানতলা আম বাগানে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত পৈশাচিক ঘটনা। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে পুলিস এখনও ঘটনার কোনও হদিশ করতে পারেনি। এরপর যত দিন গড়াবে, তত বিষয়টি ধামাচাপা পড়বে। আমরা চাইছি যতগুলো ইনভেস্টিগেশন পার্ট আছে, পুলিস তার সবগুলোই খতিয়ে দেখে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুক। আর এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতির নাটক করার কোনও মানে হয় না। এখনও পুলিসের তদন্ত চলছে। সেখানে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিতে ঘিরে প্রদীপ জ্বালানো মোটেও ঠিক নয়। বিষয়টি আমরা এসপিকে জানাব।
এবিষয়ে বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, এক মহিলার অপমৃত্যু হয়েছে বলে সেখানে গিয়েছি। গ্রামবাসীদের সাহায্যে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করা হয়েছে। এলাকাবাসীরা কালো ফিতে দিয়ে জায়গাটা ঘিরে দিয়েছিলেন। তবে এখানে আমি বিতর্কের কিছু দেখছি না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকালে কোতোয়ালির এক আম বাগান থেকে এক যুবতীর দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে পুলিস পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছে। এজন্য পুলিসের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে যুবতীর পরিচয় বের করা। যতা করতে গিয়েই কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও পরিচয় উদ্ধার না হওয়ায় পুলিস সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। তার পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলছেন পুলিসকর্মীরা।