মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
রায়গঞ্জ শহরের বিবেকানন্দ মোড়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে চুরির ঘটনা কিছুদিন আগে ঘটলেও সেই ঘটনার কিনারা হয়নি।
ওয়েস্ট দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, গত ১৩ নভেম্বর ইসলামপুরে একটি চাল ভর্তি লরি ছিনতাই করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। লরিটি টুঙ্গিদিঘি থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল। লরির চালককে বেঁধে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে দুষ্কৃতীরা লরিটি নিয়ে পালিয়ে যায়। খোয়া যাওয়া লরি উদ্ধার তো হয়ইনি, ওই ঘটনায় পুলিস কোনও কিনারাও করতে পারেনি। জেলাজুড়ে বারবার দুষ্কৃতীদের টার্গেটের মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরাই। অধিকাংশ ঘটনার কিনারাও করতে পারছে না পুলিস। অতীতে উত্তর দিনাজপুরে আইনশৃঙ্খলার এতটা অবনতি কখনও হয়নি। এখন অনেকের হাতে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র চলে এসেছে। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সংগঠন বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভাবছে।
রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, বেশকিছু দুষ্কৃতী কার্যকলাপের ঘটনার কিনারা হয়েছে। অন্যান্য কয়েকটি ঘটনার তদন্ত চলছে।
রবিবার রাতে রায়গঞ্জের গ্রামে দুষ্কৃতীরা কাপড় ব্যবসায়ীর উপর গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রায়গঞ্জের বড় ভিটিয়ার, চাপদুয়ার সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বহু ব্যবসায়ী রায়গঞ্জ শহর থেকে মালপত্র নিয়ে গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে রুটিরুজি চালিয়ে থাকেন। শহরের অনেক ব্যবসায়ী মালপত্র গ্রামীণ হাট বাজারে পৌঁছে দেন। দিনের শেষে মহাজনরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হওয়া জিনিসের টাকা আদায় করে শহরে ফেরেন। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রধারী দুষ্কৃতীরা গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সক্রিয় হয়ে ওঠায় অনেকেই হাট বাজারে গিয়ে কারবার চালাতে এখন ভয় পাচ্ছেন। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুজোর আগে থেকেই রায়গঞ্জ শহরে একের পর এক ব্যবসায়ীর দোকানে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। উকিলপাড়ায় একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব থেকে লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে। ওষুধের দোকানে, চিকিৎসকের চেম্বারেও দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। এধরণের একাধিক ঘটনা ঘটলেও কোনও ঘটনার কিনারাই আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্প্রতি লাইন বাজার এলাকায় শহরের এক বাসিন্দার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তারও কিনারা হয়নি।
নবমীর সন্ধ্যায় করণদিঘিতে এক ব্যবসায়ীকে কাছ থেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা কয়েক লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ওই ঘটনায় ব্যবসায়ীরা জেলাজুড়ে আন্দোলনে নামতেই দীর্ঘদিন পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিস। দুর্গাপুজোর কিছুদিন পর, গত ২০ অক্টোবর রায়গঞ্জ শহরের কুমারডাঙি এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে বাইকে আসা কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে খুনের চেষ্টা করে তারা। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ওই ব্যবসায়ী প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। তবে আগ্নেয়াস্ত্রধারী দুষ্কৃতীদের আজও পুলিস গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিস। হামলার ঘটনার দিনই অস্ত্রধারী দুষ্কৃতীদের পুলিস সিসিটিভি ক্যামেরায় চিহ্নিত করলেও তাদের টিকিও ছুঁতে পারেনি। ব্যবসায়ীমহলের একাংশের অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করলে অনেক প্রভাবশালীর নাম জড়িয়ে যাবে। তাই দুষ্কৃতীরা আজও অধরাই থেকে গিয়েছে।