বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সুশান্তবাবু বলেন, বাড়ি করার জন্য এদিন এক লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলেছিলাম। আমার সব টাকা চোখের নিমেষে ওরা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেল। রাস্তায় ভিড় ছিল। পিছু ধাওয়া করলাম। লোকজনকে ধরতে বললাম। কেউ এগিয়ে এল না। কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁর স্ত্রী সরস্বতী মণ্ডল বলেন, বাড়ি তৈরির জন্য এক লক্ষ টাকা ছিল। এটিএম কার্ড, ভোটার কার্ডও দুষ্কৃতীরা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সুশান্তবাবুর শ্যালক বলরাম মণ্ডল বলেন, জামাইবাবুর সঙ্গে আমিও ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। টাকা তোলার পর তিনি আমার মোটর বাইকে চেপে লাইনবাজারে আসেন। আমি সেখানে একটি সোনার দোকানে কাজ করি। দোকানের সামনে বাইকটি দাঁড় করাই। জামাইবাবু টোটোতে করে বাড়ি যাবে বলে আমাকে বলেন। চোখের সামনেই পেছন থেকে একটি মোটর বাইকে দু’জন এসে টাকার ব্যাগটা ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। জামাইবাবু গরিব মানুষ, তিনি একটি ঘরের কাজ বেশ কিছুদিন ধরে করছেন। অসমাপ্ত ঘরের কাজ করতেই এদিন টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু মুহূর্তে সব শেষ হয়ে গেল। আমার ধারণা দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কে টাকা তোলার সময় থেকেই আমাদের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল। সুযোগ বুঝেই ছিনতাই করে মোটর বাইকে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
সোমবার দিনেদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী মহল। ওয়েস্ট দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, রায়গঞ্জ শহরটা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। পুজোর পর এক ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা গুরুতর জখম করে পালিয়ে গেল। দিনের আলোয় ওই হামলার ঘটনা ঘটলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিস। সিসিটিভির ফুটেজে পুলিস দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে পুলিস দাবি করেছে। অথচ তাদের আজও ধরা গেল না। সোমবার একজন নিম্নআয়ের মানুষের এক লক্ষ টাকা ছিনতাই হল। এক্ষেত্রেও পুলিস বলবে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে। বাস্তবে সেটা কি আদৌ সম্ভব হবে?
ব্যবসায়ী মহলের অনেকের অভিযোগ, ব্যবসায়ীর উপর হামলায় প্রভাবশালীদের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের যোগ থাকায় পুলিস তাদের টিকি ছুঁতে পারছে না। দুষ্কৃতীরা এরফলে মদত পেয়ে রায়গঞ্জ শহরজুড়ে চুরি, ছিনতাই সহ অসামাজিক কাজকর্ম, হেরোইনের নেশা সবকিছু বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে। পুজোর সময় বিসর্জনের দিন শহরের এক যুবতীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। পুজোর কয়েকদিন আগে উকিলপাড়ায় চিকিৎসকের চেম্বার ওষুধের দোকান, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব সহ কয়েকটি জায়গায় এক রাতে চুরি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও পুজোর আগে শিলিগুড়ি মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে দিনের বেলা দুষ্কৃতীরা কয়েক লক্ষ টাকার গয়না হাতিয়ে পালিয়ে যায়। পুজোর পরেও রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ঘটনারই কিনারা আজও হয়নি। রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, সোমবার একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।