ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
নিউ ইয়র্কে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেস। সঙ্গে মেগানের মা ডোরিয়াও। তখনই তাঁদের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে পাপারাৎজিরা। চিত্র-চোরদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছিল হ্যারি-মেগানের গাড়িটিকে। বরাতজোরে অবশ্য কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি। পাপারাৎজিদের তাড়ার মুখে কোনওক্রমে ম্যানহাটানের একটি থানায় আশ্রয় নেন হ্যারি ও মেগান। সেখানে পাপারাৎজিদের নজর এড়াতে একটি ক্যাব বুক করেনতাঁরা। ওই গাড়িরই চালক সুখচরণ। আরোহীদের চিনতে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। তবে সুখচরণের গাড়িতে মাত্র ১০ মিনিটের যাত্রাও আদৌ নির্বিঘ্ন ছিল না। থানা থেকে বেরোনোর পরই পিছু নেয় পাপারাৎজিদের দু’টি গাড়ি। নাছোড় চিত্র-চোরদের উপদ্রব এড়াতে থানায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন হ্যারি ও মেগান। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুখচরণ বলেন, ‘আমি রাস্তায় অপেক্ষা করছিলাম। তখনই এক নিরাপত্তারক্ষী আমায় ডাকেন। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম, গাড়িতে উঠলেন প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী। কিছুটা এগতেই একটি আবর্জনা ফেলার ট্রাক আমাদের রাস্তা আটকে দেয়। সেই সময় পাপারাৎজিরা এসে ছবি তুলতে শুরু করে। গাড়ি চলতে শুরু করার পর ওরা সর্বক্ষণ আমাদের ধাওয়া করছিল। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রাজা তৃতীয় চার্লসের কনিষ্ঠ পুত্র। তাই গন্তব্যে না গিয়ে থানার নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁদের নিরাপত্তারক্ষী।’ সুখচরণ বলেছেন, ‘ওঁরা খুব ভালো মানুষ। তাঁদের দু’জনকেই খুবই উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, সারাদিন ধরেই এই পাপারাৎজিদের পিছু ধাওয়ার ধকল সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের।’ এই ঘটনায় অবশ্য নিউ ইয়র্কের নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন সুখচরণ। তাঁর কথায়, ‘নিউ ইয়র্ক সবথেকে নিরাপদ শহর।’ মঙ্গলবারের এই ঘটনাকে ‘বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি বলেন, ‘আর পাঁচটা ছোট শহরের থেকে নিউ ইয়র্ক সিটি আলাদা। এমন জনবহুল শহরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো মোটেই কাম্য নয়।’ -ফাইল চিত্র