ওয়াশিংটন, ২৪ মার্চ (পিটিআই): করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭ হাজার ১৪৭। আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৯৯ জন। তবে এটাও জানা গিয়েছে যে, ১ লক্ষ ৩ হাজার ৩৯৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তোলা গিয়েছে। সেই দিক থেকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ আশার আলো দেখছেন। যেমন কয়েক মাস ধরে চীনে ভয়াবহ আকার নেওয়ার পর বর্তমানে সেদেশে করোনা সংক্রমণকে বেশকিছুটা আটকানো গিয়েছে। মঙ্গলবার সেদেশে ৭৮ জন ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ২৭৭। কোভিড-১৯’এ নতুন করে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেক্ষেত্রে চীন যে করোনা মোকাবিলায় অনেকটাই সফল হয়েছে, তা স্পষ্ট। সরকারি হিসেব বলছে , ৭৩ হাজার ১৫৯ জনকে চিকিৎসার পর সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। চীন করোনা মোকাবিলায় বর্তমানে সফল হলেও আমেরিকার পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক। একদিনে ১০ হাজারের মতো সংক্রমণের খবর মিলল আমেরিকায়। একইসঙ্গে একদিনে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৫০। সেদেশে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৩ হাজার ৭৩৪।
কোভিড ১৯ সংক্রমণে সবথেকে খারাপ অবস্থা ইতালিতে। তবে সরকারি রিপোর্ট জানাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। গত শনিবার একদিনে সেদেশে ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার সেই সংখ্যা কমে হয় ৬৫১। সোমবার তা কমে দাঁড়ায় ৬০১। সেই নিরিখে সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও কমছে বলে আশা প্রকাশ করছেন ইতালির বিশেষজ্ঞরা। যদিও ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৭৭ হয়েছে। ইতালির পরে রয়েছে স্পেন। সেদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২ হাজার ১৮২ জন করোনায় মারা গিয়েছে। এর পর রয়েছে ফ্রান্স। সেদেশে মৃতের সংখ্যা ১৮৬ থেকে একলাফে বেড়ে ৮৬০ হয়ে গিয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান বলেন, ১৯ হাজার ৮৫৬ জনের দেহে ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। যদিও অনেকেরই ধারণা, আদতে এর থেকেও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি তথ্যে সেই সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হয়েছে।
ইতালি ও ফ্রান্স ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশেও করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরোপজুড়ে ১০ হাজার ৫৮ জন করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত। এদিকে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। সেদেশের সরকারের নির্দেশে রাস্তায় সেনা নামানো হয়েছে।