প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
শিশুটির নিত্যদিনের প্রতিটি মুহূর্তে ছড়িয়ে রয়েছে তার লড়াইয়ের ছাপ। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী শিশুটিকে শেখালেন কীভাবে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কীভাবে খাবে, ঘুমাবে, সময় কাটাবে—সব নির্দেশই শিশুটি নিখুঁতভাবে অনুসরণ করেছিল। হাসপাতালের আলাদা ঘরে নিঃসঙ্গ মেয়ে মায়ের জন্য বানাল কাগজের পোশাক। ওই সময়টা সে বেশ কিছু ছবিও আঁকল। শিশুমনে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলার বিভিন্ন চিন্তা উঠে এসেছে সেই সব ছবিতে।
একলা থাকার ওই সময়টাতে শিশুটি তার মা ও ঠাকুমাকে নিয়ে পার্কে বেড়াতে যাওয়া, সাঁতার কাটার দৃশ্য তার ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছে। কখনও সে করোনাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। কখনও সূর্যের তাপ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলছে। শিশুমনের কল্পনা ডানা মেলেছে আঁকার খাতায়।
সঙ্গীহীন শিশুটিকে একা একাই খেলতে হয়েছে। তবে শিশুটি কত দিন হাসপাতালের ওই ঘরে ছিল, মা-বাবার কাছে ফিরতে পেরেছিল কি না, তার কোনও তথ্য ইউনিসেফের প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। মূলত একটি শিশুকে একলা রাখতে হলে কীভাবে তা করতে হবে, ইউনিসেফের প্রতিবেদনে সে বিষয়ে একটি চিত্র উঠে এসেছে। ইউনিসেফ বলছে, এ থেকে অন্য আক্রান্ত দেশগুলো শিক্ষা নিতে পারে। আর ছোট্ট ইউয়ানইউয়ানের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে সম্প্রতি ছবি সহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ।