উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে চতুর্থবারের জন্য ব্রিটিশ সংসদে ভোটাভুটির জন্য ব্রেক্সিট বিল পেশ করবেন টেরিজা। তারপরই নিজের উত্তরাধিকারী বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা করবিনের এদিনের ট্যুইট মে’র উপর আরও চাপ বাড়াল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এদিন ট্যুইটে করবিন লিখেছেন, ‘টেরিজা মে’কে আমি চিঠি লিখে জানিয়েছি যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে আলাপ-আলোচনা যতদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল, নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু, আপনার সরকারের অন্দরের দুর্বলতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখে মনে হচ্ছে, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, সেটার সফল বাস্তবায়নে আপনাদের উপর আস্থা রাখা যাবে না।’ এখানেই না থেমে তাঁর আরও সংযোজন, ‘একদিকে আপনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। আর অন্যদিকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর আপনার শূন্যস্থান পূরণ করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। যার ফলে সরকারে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
২৮ সদস্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আগে ২৯ মার্চ দিনটি ধার্য হয়েছিল। কিন্তু, ব্রিটিশ সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট বিলটি সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে খারিজ করে দিলে সেই সময়সীমা পিছিয়ে যায়। এরপর ইইউ’র সঙ্গে তিনবার বৈঠকে বসে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়ে নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতারা চাইছেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্ক অটুট রাখতে অভিন্ন সাধারণ শুল্ক নীতি তৈরি করা হোক। কিন্তু, ব্রেক্সিট-পন্থী কনজারভেটিভদের মতে, এই অভিন্ন শুল্ক নীতির ফলে ব্রিটেন তার নিজস্ব বাণিজ্য নীতি তৈরি করতে পারবে না।