সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই জলের অপচয় বন্ধে নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লির আপ সরকার। আজ, শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে জঙ্গপুরায় আপ সরকারের মন্ত্রী আতিশী জলের দাবিতে অনশন শুরু করবেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘হরিয়ানা সরকারের দিল্লিতে ৬১৩ মিলিয়ন গ্যালন জল দেওয়ার কথা। অথচ তারা দিয়েছে মাত্র ৫১৩ মিলিয়ন গ্যালন জল। যতদিন পর্যন্ত হরিয়ানা সরকার দিল্লির ২৮ লক্ষ মানুষকে তার হকের জল না দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাব।’ যদিও এদিন বিজেপির দিল্লি প্রদেশ সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা অভিযোগ করেছেন, ‘আপ জল নিয়ে রাজনীতি করছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে হরিয়ানা সরকার দিল্লিকে নির্ধারিত মাত্রার থেকেও প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি জল দিয়েছে।’ অন্তত দিল্লি-এনসিআরের জন্য মৌসম ভবন বৃহস্পতিবারও সেভাবে আশার কথা শোনাতে পারেনি।
এই পরিস্থিতিতে হিট-স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়ে চলছে। অন্তত ২০ জন মানুষ শুধু দিল্লিতে হিট-স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা সমস্ত হাসপাতালকে এ ব্যাপারে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজও বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। ১ মার্চ থেকে ১৮ জুন। মাস চারেকের এই সময় তীব্র গরমে গোটা দেশে অন্তত ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়। গোটা দেশের মধ্যে তাপপ্রবাহে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরপ্রদেশ। সেখানে গত চার মাসে গরমের কারণে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর রয়েছে বিহার, রাজস্থান এবং ওড়িশা। যদিও সরকারি সূত্রে এও জানানো হয়েছে, দেশের সব রাজ্যের তথ্য এখনও তাদের হাতে আসেনি। তা এলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।