উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তবে, অদৃশ্য শত্রু কোভিডকে ধরার ক্ষেত্রে এই ‘ফেলুদা’ অবশ্য সত্যজিতের গোয়েন্দা চরিত্র প্রদোষচন্দ্র মিত্র নন। তা আদতে একটি কোভিড টেস্ট কিট। তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। নেপথ্যে বাংলার দুই কৃতী সন্তান। নয়াদিল্লির কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ-ইন্সটিটিউট অব জিনোমিক্স ইন্টিগ্রেটেড বায়োলজি (সিএসআইআর-আইজিআইবি)-র বিজ্ঞানী ডঃ সৌভিক মাইতি এবং ডঃ দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। করোনার সন্ধানে এবার তাঁদের তৈরি টেস্ট কিটকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। অর্থাৎ, বাণিজ্যিকভাবে ছাড়পত্র পেল সেই কিট। শনিবার কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর তরফে একথা জানানো হয়েছে।
টেস্ট কিট তৈরির প্রকল্পের টাটা গ্রুপের সঙ্গে হাত লাগিয়েছিল সিএসআইআর-আইজিবি। লক্ষ্য ছিল মূলত দু’টি। এক, চটজলদি করোনার হদিশ পাওয়া। দুই, কম খরচে কোভিড টেস্টের ঝক্কি-ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা। সাধারণভাবে কোভিড শনাক্তকরণে পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যা একইসঙ্গে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। শুধু তাই নয়, এর জন্য উন্নত গবেষণাগারের পরিকাঠামো থাকাও জরুরি। আর এখানেই কিস্তিমাত ‘ফেলুদা’র! এক্ষেত্রে পিসিআর-এর বদলে কাজে লাগানো হয়েছে ‘সিআরআইপিআর’ সিস্টেম। যা ক্যাস-৯ প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের জিনোমের সজ্জা নির্ণয় করতে পারে।
কোভিড ভাইরাস চিহ্নিতকরণে এমন কৌশল বিশ্বে প্রথম। পরীক্ষার গোটা প্রক্রিয়াটি মাত্র ৫০০ টাকা খরচে একঘণ্টায় গুটিয়ে ফেলা সম্ভব। পাশাপাশি, নির্ভুল টেস্টের বিষয়টিও জোর দিয়েছে সিএসআইআর। তারা বলেছে, ‘ফেলুদা’-র সংবদনশীলতার মাত্রা ৯৬ শতাংশ। এবং তা ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে করোনা চিহ্নিত করতে পারে। যে কারণে ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি প্যাথোজেন নির্দিষ্টকরণে ‘সিআরআইপিআর’ পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর একটি প্রকল্প হতেকলমে সফল হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সিএসআইআর। শনিবার টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের প্রধান গিরিশ কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘কোভিড শনাক্তকরণের এই নয়া পদ্ধতি মহামারীর বিরুদ্ধে গোটা দেশকে লড়তে সাহায্য করবে।’