উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সরকারপক্ষের দাবি, কৃষি সংক্রান্ত তিনটি বিলেই ওই দুই দলের সমর্থন রয়েছে। সেই ইঙ্গিতও তারা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শিরোমণি অকালি দলের তিনজন এমপি যদি বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেয়, সরকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে শিবসেনার তিনটি ভোট পাবে বলে আশায় রয়েছে। কৃষিবিল নিয়ে এতটাই নাটকীয় টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে যে, স্বয়ং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা এনডিএ ছাড়াও অবিজেপি অন্য দলগুলিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বিজেপির রাজ্যসভায় ৮৬ জন এমপি আছে। কংগ্রেসের আছে ৪০ জন। তবে রাজ্যসভায় এখনও গরিষ্ঠতা নেই সরকারের। কিন্তু অতীতে একের পর এক বিল সরকার পাশ করাতে সমর্থ হয়েছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সমর্থনেই। সেক্ষেত্রে কখনও মায়াবতীর দল সমর্থন করেছে, আবার কখনও বিজু জনতা দল, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সমর্থন পাওয়া গিয়েছে। ফার্মার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রোমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) বিল, এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ ফার্মার্স ফর এগ্রিমেন্ট অফ প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস বিল এবং এসেনশিয়াল কমোডিটিডিজ আইন সংক্রান্ত তিনটি বিল নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল কৃষক অসন্তোষ। পরিস্থিতি সামলাতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আসরে নেমেছেন।
জানা যাচ্ছে, বিল পাশ করানোর পর বিপুলভাবে প্রচারে নামবে সরকার ও বিজেপি। সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারাভিযানে নামা হবে বলেও স্থির হয়েছে। আবার সংসদে হারজিত যাই হোক, এই বিল যে কৃষকদের সর্বনাশ করবে তা পাল্টা প্রচার করবে বিরোধীরা। সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর একের পর এক মন্ত্রী ও এমপি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সিংহভাগ দলের পক্ষ থেকে সরকারকে বলা হয়েছে, অধিবেশনের সময়সীমা কমিয়ে দ্রুত সংসদ মুলতুবি করা হোক। শনিবার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংসদের সময়সীমা কমানো হবে। তবে ১১টি অর্ডিন্যান্স পাশ করানোর পরই সংসদ মুলতুবি হবে। সম্ভবত আগামী ১ অক্টোবর নয়, আগামী সপ্তাহেই সংসদের বাদল অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটছে।