বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
তেলেঙ্গানার রঙ্গরেড্ডি জেলার ভূমি ও রাজস্ব আধিকারিক ছিলেন লাবণ্য। প্রশাসনিক কাজে সাফল্যের কারণে তাঁকে ‘সেরা তহসিলদার’ সম্মানে ভূষিত করে তেলেঙ্গানার সরকার। সম্মান পাওয়ার বছর দু’য়েকের মধ্যেই লাবণ্যর জেলযাত্রা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। তাঁকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্যে ভরে উঠছে ফেসবুক ও ট্যুইটার। বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপিংসও ছড়িয়ে পড়েছে তাঁকে ঘিরে। ওইসব ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জমির রেকর্ডের ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য লাবণ্যকে বারবার অনুরোধ করে যাচ্ছেন কয়েকজন কৃষক। খুব সম্ভবত রেকর্ড সমস্যায় জর্জরিত কৃষকরা যখন ভূমি দপ্তরে গিয়েছিলেন তখনই ভিডিওগুলি রেকর্ড করা হয় বলে দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা মনে করছেন।
গতকাল লাবণ্যর বাড়িতে আচমকা অভিযান চালায় দুর্নীতি-দমন শাখা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রঙ্গরেড্ডি জেলার বাসিন্দা ভাস্কর নামে এক কৃষকের জমির রেকর্ডের ভুলত্রুটি টাকার বিনিময়ে সংশোধন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন লাবণ্য ও তাঁর সহযোগী এক জুনিয়র অফিসার। অনলাইনে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মোট ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়েছিল ভাস্করের সঙ্গে। প্রথম পর্যায়েরর ওই জুনিয়র অফিসারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ভাস্কর। পরে চার লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই অফিসার। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই লাবণ্যর নাম উঠে আসে। তদন্তকারী অফিসারদের কাছে ভাস্কর জানিয়েছেন, চুক্তি মতো ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা ছিল লাবণ্যর। বাকি তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা ছিল ওই জুনিয়র অফিসারের।
ভূমি ও ভূমি-রাজস্ব দপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব তেলেঙ্গানার কৃষকরা। গত মার্চ মাসেই এক কৃষক দুর্নীতি রোধে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠি পোস্ট করেন। তাতে বেশ তোলপাড়ও শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী সে সময় আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভূমি দপ্তরের দুর্নীতি ঠেকাতে তিনি প্রশাসনিক কাজে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।