উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৩টিতেই হেরেছে মেহবুবার দল। অনন্তনাগে তাঁর মূল লড়াই ছিল এনসি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি হাসনাইন মাসুদি এবং কংগ্রেসের জি এ মিরের সঙ্গে। জীবনে প্রথমবার রাজনীতিতে এসেই সফল হয়েছেন মাসুদি। অনন্তনাগে এবার তিন দফায় নির্বাচন হয়েছে। মাত্র ৮.৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ৩৯ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে সেখানে জয়ী হয়েছেন মাসুদি। কংগ্রেসের মির পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৩৪টি ভোট। সেখানে মেহবুবার ঝুলিতে গিয়েছে ৩০ হাজার ৬৮টি ভোট। এর আগে ২০১৬ সালেও নিজের খাসতালুকে হেরে গিয়েছেন তিনি।
শ্রীনগর, অনন্তনাগ ও বারামুলায় জয় পেয়েছেন এনসি প্রতিষ্ঠাতা ফারুক আবদুল্লা, মহম্মদ আকবর লোন এবং প্রাক্তন বিচারপতি মাসুদি। গণনায় শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন ফারুক। এক লক্ষ ছ’হাজার ৪২৭টি ভোট পেয়েছেন তিনি। যা প্রায় ৫৭.১৩ শতাংশ। এই নিয়ে চারবার সাংসদ হলেন ফারুক। তাঁর বিরুদ্ধে পিডিপি প্রার্থী আগা সৈয়দ মহসিন পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৬০৯টি ভোট। বারামুলায় রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মহম্মদ আকবর লোন পেয়েছেন এক লক্ষ ৩১ হাজার ৮৬৯টি ভোট। প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। এই কেন্দ্রে চতুর্থ হয়েছেন পিডিপি প্রার্থী আব্দুল কায়ুম।
উধমপুরে কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংকে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৬১.৩৮ শতাংশ। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে কেউ এত ব্যবধানে জয়ী হননি বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। জম্মু আসনে আট লক্ষ ৩০ হাজার ৮৬১টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী যুগল কিশোর। লাদাখে ৩৮ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন বিজেপির জাম্যাং সেরিং নামগিয়াল। এখানে নির্দল প্রার্থী সাজ্জাদ হুসেনকে সমর্থন জানিয়েছিল এনসি এবং পিডিপি। ২৯ হাজার ৪টি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন তিনি। ভোটের এই ফলে স্পষ্ট যে উপত্যকার রাজনীতি থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে পিডিপি।