উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আগামী ৩০ মে বিজয়ওয়াড়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন জগন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্ধ্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী। আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অমিত শাহকেও। সাক্ষাৎ পর্বের পর এবিষয়ে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি লিখেছেন, অন্ধ্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে অসাধারণ বৈঠক হয়েছে। অন্ধ্রের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে আমাদের। কেন্দ্রের তরফে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি তাঁকে।
অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপিকে ধরাশায়ী করে বিধানসভা ভোটের বিশাল জয় পেয়েছে জগনের দল। রাজ্যের ১৭৫টি আসনের মধ্যে ১৫১টিতে জয়ী হয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। পাশাপাশি অন্ধ্রের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টি গিয়েছে জগনের দলের ঝুলিতে। ঘটনাচক্রে অন্ধ্রের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা আদায়ে ব্যর্থ হয়েই গত বছর এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু। আর এবারের ভোটে আগাগোড়া বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা আদায়ের ইস্যুকে সামনে রেখে প্রচার চালিয়েছিলেন জগন। বিধানসভায় বিশাল জয় পেয়ে রাজ্যে সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। ঘটনাচক্রে অন্ধ্রের মাথায় এখন ২.৫৮ লক্ষ কোটি টাকার দেনা। সেই সূত্রে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেন্দ্রে যেভাবে বিপুল জয় পেয়ে ফিরছে এনডিএ সরকার, তাতে দাবি আদায়ে চাপ দিয়ে যে কাজ হবে না, তা ভালোই বুঝছেন জগন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর কথাতেই তা স্পষ্ট। জগন বলেন, আজ আমরা হয়তো এটা (বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা) পান না। দয়ার উপর নির্ভর করতে হবে আমাদের। কিন্তু তাঁকে (মোদি) বারবার আমি মনে করিয়ে দেব। যাতে কোনও একদিন পরিস্থিতির বদল হয়। এনডিএ যদি ৩৫৩টি আসন না পেয়ে ২৫০টি পেত, তাহলে ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির কাছে তা ‘অসাধারণ মুহূর্ত’ হতো। ওদের আর আমাদের প্রয়োজন নেই (সরকার গড়ার জন্য)। ওরা নিজেরাই শক্তিশালী। দাবি জানিয়ে বিশেষ কোনও ফল হবে না। তবে হ্যাঁ, বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝাতে আমরা আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য নিয়ে সবটা শুনেছেন। তাতে আমি খুশি।