পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
সুকান্ত মজুমদার কিংবা দিলীপ ঘোষ—দু’পক্ষই এই ঘটনাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চেয়েছেন। কিন্তু একে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, বিজেপিতে এখন সমান্তরাল তিনটি গোষ্ঠী কাজ করছে। বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে বর্তমানে দলবদলু শীর্ষ নেতার গোষ্ঠী এবং দিলীপ শিবিরের মধ্যে তুমুল দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। বিজেপির এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্তবাবু রাজ্য সভাপতিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ফের দিলীপ ঘোষকেই সেই পদে বসানো হয় কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। এই পরিস্থিতিতে দিলীপবাবুর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে সুকান্ত মজুমদার গোষ্ঠী বিশেষ বার্তা দিতে চাইলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন প্রথমে নয়াদিল্লির শাস্ত্রী ভবনে কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সুকান্তবাবু। রাজ্যের শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের কড়া সমালোচনাও করেন। পরে বিজ্ঞান ভবনে উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গ তথা গোটা বাংলার মধ্যেই একটি সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিটির উন্নয়নই একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে। আমার সেই চেষ্টাই থাকবে।’ মণিপুর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে চাইছেন মণিপুরে দ্রুত শান্তি ফেরাতে। যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ যদিও কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েই মন্তব্য-বিতর্কে জড়িয়েছেন জাহাজ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সোমবার রাতেই তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। মঙ্গলবার পরিবহণ ভবনে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা হাফপ্যান্ট মন্ত্রী হলে ওরা অন্তর্বাস (চাড্ডি) মন্ত্রী। চোখেই দেখা যায় না।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ‘অশালীন’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।