কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে কয়লা কাণ্ডে এফআইআর করেছিল সিবিআই। সেখানে নাম রয়েছে অনুপ মাঝি সহ কয়েকজনের। প্রায় একবছর ধরে তদন্ত চললেও এতদিন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই মামলায় এটাই প্রথম গ্রেপ্তারি। তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জে কয়লা পাচারের একটি বড় চক্র কাজ করছে। অনুপের আগে এই অঞ্চলে কয়লা মাফিয়া ছিলেন জয়দেব মণ্ডল। তাঁর কাছেই অনুপের হাতেখড়ি। রাজ্যে পালাবদলের পর গ্রেপ্তার হন জয়দেব। তখনই এই সামাজ্যের দখল নেন অনুপ। জেল থেকে বেরিয়ে তাঁর ব্যবসায় টাকা ঢালেন জয়দেব। সেকথা জানতে পেরেই এই কয়লা মাফিয়ার বাড়ি ও অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই।
তদন্তকারী আধিকারিকরা আরও জানতে পারেন, একসময় পশ্চিম বর্ধমানের এক সিপিএম নেতার স্নেহধন্য নীরদ মণ্ডল ও আসানসোলের আর এক বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ নারায়ণ নন্দও জড়িত এই কয়লা পাচারে। অনুপ মাঝির সঙ্গে মিলে তাঁরা বেআইনি কারবার চালাচ্ছেন। বেআইনি খনি থেকে তোলা কয়লা কোথায় পাঠানো হবে, টাকা কীভাবে এবং কার হাত দিয়ে আসবে—সবকিছুতেই এই চারজনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি হয়। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় লেনদেনের নথি, প্রভাবশালীদের কাছে টাকা যাওয়ার চিরকুট সহ বিভিন্ন কাগজপত্র। এই চার অভিযুক্ত বিভিন্ন সময়ে কলকাতার প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই। অভিযোগ, গুরুপদ বিভিন্ন কোম্পানি খুলে কয়লা পাচারের বেআইনি টাকা বাজারে খাটিয়েছেন। জয়দেবের দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করা। বেনামে থাকা লালার একাধিক কোম্পানিতে এই চারজনের টাকা খাটছে বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। একাধিক কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন দেখানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই একাধিকবার চারজনকে জেরা করেছে সিবিআই। তাঁদের বিভিন্ন নথি জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু তাতে বেশ কিছু ফাঁক নজরে আসে। সে বিষয়ে জেরার জন্যই এদিন তাঁদের ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। কিন্তু অভিযুক্তদের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সিবিআই কর্তারা। এরপরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।