কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআইএ আইএস জঙ্গি সংগঠন যুক্ত রয়েছে, এমন ৩৭টি ঘটনার তদন্ত করছে। হামলার পরিকল্পনা, অর্থ সংগ্রহের মতো কেস তারমধ্যে রয়েছে। জুলাই মাসেও নতুন করে তারা একটি কেসের তদন্ত শুরু করেছে। এই সমস্ত ঘটনাগুলির তদন্ত চালিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই গোয়েন্দা সংস্থা ১৬৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইতিমধ্যে ৩১টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ২৭জন জঙ্গির সাজা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন বহু দিন ধরেই অনলাইনকে হাতিয়ার করেছে। তারা নিজেদের ভাবধারা ছড়িয়ে দিয়ে যুবকদের টানার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে আইএস অনলাইনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছে। তারা বিদেশ থেকেই সবকিছু অপারেট করছে। বিশেষ করে তারা অনলাইনে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণও দিতে শুরু করায় আধিকারিকদের চিন্তা বেড়েছে।
প্রথমে মগজ ধোলাই করার পর যুবকদের নিজেদের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য করছে। তারপর তারা অনলাইনে কথোপকথনের মাধ্যমে বুঝে নিচ্ছে কে কোন বিষয়ে পারদর্শী। সেইমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সবটাই স্থানীয় ভাষাতেই করা হচ্ছে। কাজের পারদর্শিতা দেখে তারা কাউকে অর্থ বা অস্ত্র সংগ্রহ করার দায়িত্ব দিচ্ছে। আবার কাউকে নিজেদের ভাবধারা আরও বেশি করে ছড়ানোর কাজ দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বুদ্ধিমান যুবকদের উন্নতমানের বিস্ফোরক তৈরির কাজে লাগানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে ওঠায় এনআইএ নেটিজেনদের সতর্কও করেছে। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছে, কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তারা সরাসরি তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে পারে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, নজরদারি অনেক বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনের সদস্যদের আইএস হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে না। তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে। অনেক ভালো ছাত্রও তাদের জালে পা দিচ্ছে। এরকম বেশ কয়েকজন গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে।