বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
বিগত লোকসভা ভোটে আসন সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলের ফল মোটেই আশানুরূপ হয়নি। অন্যদিকে, বিজেপি একলাফে ১৬টি আসন বাড়িয়ে রাজ্যে ১৮টি আসন দখল করেছে। তৃণমূল ২২টি আসন জিতলেও তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু কংগ্রেস ও বামেদের বস্তুত মুছে দিয়ে মেরুকরণের এই ভোটে বিজেপির ভোট যে হারে বেড়েছে, তাতে স্বস্তিতে নেই তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছেন দলনেত্রী। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৩ জন। এছাড়া দলছুট কংগ্রেস ও বামেদের বিধায়করা এখন তৃণমূল শিবিরে। অথচ গত লোকসভা ভোটে রাজ্যে ১৬৪টি আসনে তৃণমূল এগিয়েছিল। বিজেপি এগিয়ে ছিল ১২১টি বিধানসভা আসনে। রাজ্যে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে কোনও স্তরের ভোটে তৃণমূলের একাধিপত্য কায়েম ছিল। তা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে এই ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত তৃণমূল নেত্রী। রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক উন্নয়নমূলক প্রকল্প সফল হলেও তার প্রভাব এই ফলাফলে যথেষ্ট পড়েনি বলেই নির্বাচন পরবর্তী মূল্যায়নে নিজেই স্বীকার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কাজে জনসংযোগ জরুরি। ইতিমধ্যেই জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সেই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এর সঙ্গে দলের গোষ্ঠীকোন্দল ও দুর্নীতি সাংগঠনিকভাবে দলকে দুর্বল করেছে বলেই দলীয় পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। উঠে এসেছে পুলিস, প্রশাসন নির্ভরতার প্রসঙ্গ। মমতা চান, দল নিজের পায়ে দাঁড়াক। দলকে আরও বেশি আন্দোলনমুখী করে তোলার ডাক দিয়েছেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মুখোমুখি হবেন তৃণমূল ভবনে। বিজেপির ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির মেকাবিলায় আরও গুরুত্ব যেমন দেওয়া হবে, তেমনই সংগঠনকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দলের বিধায়কদের আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের থেকে বিধানসভা নির্বাচনের সমীকরণ যে আলাদা, সেটা মাথায় রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা ভিত্তিক বৈঠকগুলিতে। এরই সঙ্গে বিধায়কদের রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারে আরও সক্রিয় হতে বলবেন বলেই তৃণমূল মহলের ধারণা। এর সঙ্গেই রয়েছে আসন্ন ‘ধর্মতলা চলো’র প্রস্ততি পর্যলোচনা। এবার জমায়েতের রেকর্ড করে তৃণমূল রাজ্যে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বদ্ধপরিকর। এবারের সমাবেশ থেকে ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়ার দাবিতে সরব হবে তৃণমূল। সেই অর্থে এই সমাবেশের গুরুত্ব তৃণমূলের কাছে অনেক বেশি।