বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে গ্ল্যামার জগতের অনেকের যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআইও একই তথ্য পেয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে ইডি জেনেছে, রোজভ্যালিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাদেবীর। গৌতমবাবুর টলিউডে যাতায়াত ছিল। তাঁর সংস্থা বেশ কিছু সিনেমা প্রযোজনাও করে। সেই সূত্র ধরেই ওই নায়িকার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রোজভ্যালি তাঁর কিছু সিনেমার স্বত্ব কিনেছিল। যা নিয়ে আর্থিক লেনদেন হয়। ঋতুপর্ণাদেবীর সংস্থা হল ভাবনা আজ ও কাল। এই সংস্থা কয়েকটি সিনেমাও তৈরি করে রোজভ্যালির হয়ে। প্রচার থেকে বিপণনের দায়িত্ব নিয়েছিল এই সংস্থা। এই নিয়ে তাদের মধ্যে চুক্তিও হয়। এই বিষয়ে জানতেই অভিনেত্রীকে ডাকা হয়েছে। ইডির অফিসারদের বক্তব্য, প্রথম থেকেই এই লেনদেন তাঁদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছিল। রোজভ্যালিকর্তা খাতায়-কলমে যে পরিমাণ টাকা লেনদেন দেখাচ্ছেন, আদৌ সেই পরিমাণ টাকা খরচ হয়নি। অভিনেত্রীর কোম্পানির সঙ্গে কত টাকার চুক্তি হয়েছিল এবং ওই সংস্থাটি কত টাকা পেমেন্ট পেয়েছিল, তা দেখতে চাইছেন তাঁরা। এই টাকা কীভাবে পেমেন্ট করা হয়, তাও অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে। যে কারণেই কোম্পানির সঙ্গে রোজভ্যালির চুক্তিপত্র চাওয়া হয়েছে। তাই কোম্পানির নামেই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে এই সংস্থার মালিক ঋতুপর্ণাদেবী। তাই গোটা বিষয়টি তাঁর জানা স্বাভাবিক। এছাড়াও রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে কয়েকবার বিদেশ ভ্রমণে যান অভিনেত্রী। এই খরচ দেওয়া নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। গৌতমবাবু ইডিকে জানান, টাকার পুরোটাই তিনি খরচ করেছিলেন। সত্যিই তেমনটি হয়েছিল, নাকি নিজেকে বাঁচাতে গৌতমবাবু একথা বলছেন, তা অভিনেত্রীর মুখ থেকেই শুনতে চাইছেন অফিসাররা। সেই কারণেই এই সংক্রান্ত টিকিট ও টাকা পেমেন্টের নথি আনতে বলা হয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট হবে টাকা কে মিটিয়েছিলেন।
এদিকে এই নোটিস নিয়ে ঋতুপর্ণাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বক্তব্য, এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায় নেই, আমেরিকায় রয়েছেন। অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছ থেকে শুনেছেন। তাঁর নামে কোনও চিঠি আসেনি। ভাবনা আজ ও কালের নামে এসেছে। এই কোম্পানির মালিক হিসেবে তিনি যাবেন। রূপসী বাংলার সঙ্গে যা যা কাজ হয়েছে, তার নথি নিয়ে যাবেন। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সবরকম সহযোগিতা করবেন। চিঠিতে শুধু দেখা করার কথা বলা আছে। আর কিছু বলা নেই।