উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দলের আসন কমলেও ভোট বেড়েছে চার শতাংশ। ফল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা পর এই দাবির পাশাপাশি বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পারার কথা মেনে নিয়ে বস্তুত নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের বিঁধেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, গত পাঁচ মাস ধরে লোকসভা নির্বাচনের নামে রাজ্যে প্রশাসনিক কাজ প্রায় করা যায়নি। তার উপর ভোটের সময় টাকার খেলাতেও পেরে ওঠেনি। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে ভোট জিতেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন থেকে বিচারব্যবস্থা কোনও কিছুর উপর আস্থা রাখা যায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্রের শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে। পুরোটাই অনৈতিক কাজ। উগ্র ধর্মান্ধতার বিরোধী তিনি। তাঁকে দিয়ে কোনও অনৈতিক কাজ করানো যাবে না। মমতার দাবি, যদি নীতির পথে থেকে একলা হয়ে যেতে হয়, তাহলেও আদর্শচ্যুত হবেন না তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি এই অপমান সহ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আকঁড়ে থাকতে চাইনি। ইস্তফা দিয়ে দলের কাজে সময় দেওয়ার প্রস্তাব বৈঠকে হাজির নেতাদের কাছে রেখেছিলাম। মমতা বলেন, একটা অপমানকর পরিস্থিতি। এটা মেনে নিতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকলেও সে সম্পর্কে কোনও মোহ নেই। চেয়ারের জন্য আমি লালায়িত নই। আমার জন্য চেয়ারের প্রয়োজন নেই, চেয়ারের আমায় প্রয়োজন। মমতা জানান, তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রস্তাবে কেউ রাজি হননি। তাই দলের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি স্বপদে রয়ে গেলেন।
মমতা লোকসভা ভোটে উন্নয়নকে অস্ত্র করে প্রচারে নেমেছিলেন। এদিন কিছুটা অভিমানের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। বলেন, অনেক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। বিনা পয়সায় চিকিৎসা, কন্যাশ্রী, এমনকী মারা গেলেও আর্থিক অনুদান দিয়েছে সরকার। তাঁর মতে, বেশি কাজ করে ফেলেছিলাম। এবার দলটা বেশি করব। ভোটের প্রচারে তাঁর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এদিন মমতা বলেন, আমি তো মুসলিমদের তোষণ করি! প্রতিবার ইফতারে যাই, এবারও যাব।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো কিছুটা তির্যকের সুরে মোদিকে অভিনন্দিত করলেও তাঁর জয়ের নেপথ্যে বিদেশের হাত থাকার ইঙ্গিত দেন। তবে তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি। যেমন ইভিএমে কারচুপির আভাস দিতে গিয়ে নানা রাজ্যে বিরোধীশূন্য ফলাফলের দিকে আঙুল তুললেও নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। তাঁর দাবি, রাজ্যে যেসব আসনে বিজেপি এক লক্ষর মতো ভোটে জিতেছে, সেখানে কোনও ‘প্রোগ্রামিং’ করে রাখা হতে পারে।