উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে এবিভিপি’র রাজ্য সহ-সভাপতি সুবীর হালদার জানান, রাজ্য সরকার পেশিশক্তির জোরে ভয় দেখিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রেখেছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এই স্বৈরাচারী মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি চরম বার্তা। সুবীরের অভিযোগ, বাংলার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বলপূর্বক দখল করে রেখেছে টিএমসিপি। যাঁদের একটা বড় অংশ এবার এবিভিপি’তে নাম লেখানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্টদের কি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে? জবাবে এবিভিপির এই সদস্য বলেন, আমাদের আদর্শ রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণ। তাতে অনুপ্রণিত হয়ে অতীতের ভাবধারা পরিবর্তন করে যাঁরা আসতে চান, তাঁদের স্বাগত জানাতে তৈরি আমরা। শুধু তাই নয়, ছাত্র সংগঠন করাকে একদল কেবল দলীয় রাজনীতিকরণ এবং অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র হিসেবে ভাবত। এবিভিপি সেই ধারা বদলে দিয়ে স্রেফ দেশ গঠনের কাজে ব্রতীদের সংগঠনে দেখতে চায়।
যদিও এবিভিপি’র এই রাজনৈতিক বক্তব্যকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের অন্যতম রাজ্য সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডলের কথায়, এবিভিপি নেতৃত্বের দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কেননা, গোটা রাজ্যের ছাত্রসমাজ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছে। এবিভিপি’র প্রশ্ন, সেটাই সত্যি হলে আড়াই বছর ধরে কেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে? জবাবে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের এই পদাধিকারী বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার পর্যলোচনা করছে। সঠিক সময়ে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করি। গেরুয়া-সবুজের এই লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ব্যালট বক্সে খাতাই খুলতে পারেনি লাল পার্টি। রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে ঠিক তেমনই করুণ দশা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গেরুয়াকরণের জন্য সরাসরি তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর কথায়, একমাত্র টিএমসিপি’র সদস্যরাই জার্সি বদলে এবিভিপি’তে যোগ দিতে পারেন। কারণ, তাঁদের দল-সংগঠনের নীতি-আদর্শ নেই। স্রেফ ক্ষমতা ও অর্থের পিছনে ছুটতে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেবেন। সৃজনের আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, এসএফআইয়ের কোর সংগঠনের সদস্যরা কোনও দিনই এবিভিপিতে যাবেন না। বরং দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে এসএফআইয়ের সদস্যরা ঢুকতে পারছিলেন না, সংগঠনের পতাকা নিয়ে সাধারণ পড়ুয়ারা সেখানে ঢুকতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি অবিলম্বে ছাত্র সংগঠন নির্বাচন করার দাবি তুলে টিএমসিপি-এবিভিপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সৃজন।