নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডায়াবেটিসের চিকিৎসায়, আইসার কলকাতা গাঁটছড়া বেঁধেছে এইমস কল্যাণীর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত অধিকর্তা সুনীল খারে। তিনি জানান, হিমোগ্লোবিনে গ্লুকোজের বিশেষ সূচক এবং সিরাম মেটাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই গবেষণার জন্য মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। একই সঙ্গে, আইন বিশ্ববিদ্যালয় এনইউজেএসের সঙ্গে ওষুধ সংক্রান্ত আইনের বিশাল ডেটা সংশ্লেষে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রয়োগ নিয়ে একটি যৌথ প্রকল্প চলছে। এর ফলে আইন সংক্রান্ত জটিল কাজ অনেক সহজ হতে চলেছে। তিনি আরও জানান, আইসারের কেমিস্ট্রি বিভাগ নেচার ইনডেক্সে সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান পেয়েছে। সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির র্যাঙ্ক ষষ্ঠ, যা আইসারগুলির মধ্যে প্রথম। অ্যাকাডেমিক র্যাঙ্কিংয়েও দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আইসার কলকাতা। কেমিস্ট্রি, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বা অন্যান্য ক্ষেত্রের উচ্চমানের গবেষণার ফলেই এই র্যাঙ্ক তারা পেয়েছে। তাই এই বিষয়গুলির উচ্চমানের শিক্ষক, গবেষক এবং বাহ্যিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে নানা উদ্ভাবনী কাজ করা সম্ভব।
এই মূহূর্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে ১৯টি মউ স্বাক্ষর করেছে আইসার কলকাতা। এর মধ্যে অনেকগুলিই শিল্প সংস্থা। এদিন প্রতিষ্ঠানের সমাবর্তন উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআইএসসি বেঙ্গালুরুর ইনসা সিনিয়র সায়েন্টিস্ট তথা পদ্মশ্রী পদার্থবিদ রোহিণী গোড়বোলে। তিনি বলেন, মেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞানচর্চার আরও বৃদ্ধি জরুরি। সকলে মাদাম কুরি বা রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন হবেন না ঠিকই, তবে, আমাদের পাশের বাড়ির সাধারণ মেয়েটিও যাতে বিজ্ঞানচর্চা করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাদপ্রতিম জৈব রসায়নবিদ অসীমা চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে বাংলার মেয়েদের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসকেও কুর্নিশ জানান তিনি।