পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার কড়েয়া থানা এলাকার বাসিন্দা ৬৮ বছরের তপন পাড়ুই ২০২৩ সালে মে মাসে আলিপুর আদালতে ছেলের বিরুদ্ধে খোরপোশের মামলা দায়ের করেন। তপনবাবুর অভিযোগ, সাত বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে বাড়িতে ছেলের সঙ্গেই তিনি থাকতেন। তিন বছর আগে ছেলে সজল পাড়ুই বিয়ে করেন। তারপর সে ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করে। আমাকে ঠিক মতো দেখভাল করে না। প্রতিদিন খাবার না জোটায় বাইরে থেকে এনে খাই। ছেলে‑বউমা আমার খোঁজও নেয় না। আমি যেন ওদের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছি। আদালত সূত্রের খবর, পরিস্থিতি কঠিন আকার নিলে ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে খোরপোশের মামলা দায়ের করেন তপনবাবু। সেই মামলার শুনানির শেষে আদালত এক অন্তর্বর্তী রায়ে প্রতি মাসে অভিযোগকারীকে পাঁচ হাজার টাকা খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তার ভিত্তিতে ওই টাকা দেওয়া শুরু করে ছেলে। কিন্তু গত চার মাস ধরে ওই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। বৃদ্ধ ছেলের কাছে টাকা চাইতে গেলে কর্ণপাত করেনি সজল। এরপরই ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধ বাবা। আদালতকে তপনবাবু বলেন, টাকা না পেলে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়া, ওষুধ কিনবেন কী করে? এরপরই বিচারক কড়া ভর্ৎসনা করে ছেলেকে বকেয়া টাকা মেটানোর নির্দেশ দেন। বিচারকের কড়া মন্তব্য নিয়ে সজলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই মামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। বিষয়টি সম্পূর্ণ পারিবারিক ব্যাপার।’