সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গোসাবা, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর সহ ন’টি ব্লকের চাষযোগ্য জমির নমুনা সংগ্রহ করে টালিগঞ্জের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। কয়েকদিন আগেই সেই রিপোর্ট এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু এলাকায় মাটিতে লবণের মাত্রা ৪.৫-৫ এমএমওএইচএস/সিএম। সার্বিকভাবে গড়ে দুই থেকে পাঁচের মধ্যে রয়েছে নোনাভাবের মাত্রা। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাত্রা চারের নীচে থাকলে ভালো। কিন্তু এবার যেহেতু জল নামতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে, তাই নোনাভাব কিছুটা জাঁকিয়ে বসেছে। তাই মাটি পরীক্ষা করা হল। তবে এটা প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা। আরও কয়েক দফায় এই কাজ হবে বলে খবর। জল নেমে যাওয়ার পর ফের মাটির নমুনা নেওয়া হবে। তারপর বর্ষার পর আরও একবার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। গতবার উম-পুনের সময় অবশ্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
মাটি যতটা লবণাক্ত হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন কৃষি বিভাগের কর্তারা, ততটা হয়নি। ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। তবে যেহেতু নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি লবন পাওয়া গিয়েছে, তাই ভারী বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কর্তারা। এদিকে, নতুন করে কোটালের জেরে জল ঢুকতে পারে এই সব জমিতে। সেই জল নামতে কতটা সময় নেবে, তা নিয়ে চিন্তায় কর্তারা। তাই এই জমিতে আবার কবে চাষ করা যাবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সূত্রের খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৭টি ব্লকের ১০৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০৪টি মৌজায় চাষ ও জমির ক্ষতি হয়েছে। এই জায়গায় আপাতত কোনও প্রকার চাষের কাজ করা যাবে না। তার মধ্যে সব থেকে বেশি মৌজা রয়েছে কুলপি ব্লকে (১০২)। তারপর আছে পাথরপ্রতিমা ব্লক (৮৭)। গোসাবা, বাসন্তীতে যথাক্রমে ৫০ ও ৬৫টি মৌজার জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে জল অনেক জায়গা থেকে নামছে না। ফলে পাম্প বসিয়ে সেই কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।