সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
চাকদহ স্টেশনের একজন কুলি রবিন কুমার বলেন, আগে ট্রেন যখন চলত, তখন দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার হতো। গত বছর থেকে করোনার জন্য রোজগার এমনই কমে গিয়েছে। এখন ট্রেন বন্ধ থাকায় বাজারে গিয়ে মাল ওঠানো-নামানোর কাজ করতে হচ্ছে। সেখানেও মেরে কেটে ৫০-১০০ টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। কোনও কোনও দিন তাও হচ্ছে না। গতবারেও লকডাউনে একই সমস্যা হয়েছিল আমাদের। এইভাবে কতদিন চলবে ‘ভগবান’ জানেন।
চাকদহ শহরের ব্যবসায়িক গুরুত্ব থাকায় নিত্যদিন বহু মানুষ এখানে আসেন। তাঁদের বেশির ভাগ মাল কিনে ট্রেনে করে ফেরেন। এছাড়াও চাকদহে রয়েছে জামা-কাপড়ের হাট এবং বিস্তীর্ণ এলাকার পাইকারি সব্জি বাজার। সেখান থেকেও বহু মাল ট্রেনে করে বিভিন্ন জায়গায় যায়। সেই সমস্ত মাল মাথায় করে বা ঠেলা গাড়িতে করে কুলিরা স্টেশনের মধ্যে নিয়ে যাওয়া বা নিয়ে আসা করেন। এছাড়াও প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ট্রেন স্টেশনে ঢুকলেই দৌড়ে যান ওঁরা সাধারণ যাত্রীদের লাগেজ মাথায় করে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। তার বিনিময়ে সামান্য টাকা রোজগার করেই পেট চালান তাঁরা। বেশির ভাগ কুলির বাড়ি বিহারে। ‘দেশে’ থাকা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে স্টেশনে শুয়েই রাত কাটিয়ে দেন তাঁরা। তবে তাঁদের কেউ কেউ অবশ্য স্টেশনের ধারে-কাছে সামান্য টাকায় বাড়ি ভাড়া করেও থাকেন। বর্তমানে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চাকদহ স্টেশনের কুলিরা এখন কোনও বেলা খেতে পাচ্ছেন, আবার কোনও বেলা জুটছে না সামান্য খাবারটুকুও। তাঁদের আশা, শীঘ্রই যেন করোনার কালো মেঘ দ্রুত সরে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে জনজীবন। আবার ট্রেন ছুটবে, মাল ওঠানামা করবে, স্টেশন গমগম করবে, কেটে যাবে এই দুর্দিন।