প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
পানচাষিদের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। গোটা সাগর জুড়ে লাগানো পানের বরোজ মাটির সঙ্গে মিশে জলকাদায় পচছে। শুক্রবার সাংসদ মিমি চক্রবর্তী বারুইপুরে ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা নিয়ে মহকুমা প্রশাসন ও বিডিওর সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নেন। সাংসদের কাছে বারুইপুরের ফল চাষের বিপর্যয় ও তার সঙ্গে যুক্তদের আর্থিক অনটনের করুণ দশার কথা তুলে ধরেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা। আজ, কাকদ্বীপে মুখ্যমন্ত্রী এলে তাঁর কাছেও পানচাষিদের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
বারুইপুর মহকুমার ৯০ শতাংশ মানুষের অর্থনৈতিক রোজগার ফল চাষকে কেন্দ্র করে। কেউ গাছ ও জমি লিজ দিয়ে রোজগার করেন, কেউ লিজ নেওয়ার পর তার পরিচর্যার জন্য দৈনিক মজুরিতে লোক কাজে লাগান। ফল পাকার পর তা ভাঙা, গোছানো থেকে বাজারে পৌঁছে দেওয়া— এই তিন ধাপে প্রচুর লোক এই চাষের থেকে রোজগার করে সংসার চালান। বৈশাখ মাস থেকে বারুইপুরে লিচুর রমরমা হয়। এর সঙ্গে জামরুল, সবেদা, আঁশফল, গোলাপজাম, করমচায় (যা থেকে চেরি হয়) ভরে যায় বাজার। লিচু, জামরুল, সবেদা ও আঁশফল কলকাতা ও বিভিন্ন জেলা ছাড়াও দিল্লি ও মুম্বই যায়। পাশাপাশি প্রচুর করমচার ফলন হওয়াতে তা থেকে চেরি তৈরির একাধিক কারাখানাও গড়ে উঠেছে। লকডাউনে সব বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ফলের বাজার একেবারে মন্দা চলছিল। সেই কারণে লিচু, সবেদা, জামরুল অধিকাংশ গাছেই ছিল। ঝড়ে হাজার হাজার গাছ সহ লাখ লাখ টাকার ফল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। করমচা কেনার লোক নেই। কারণ কারখানা বন্ধ। সাগরের ৯০ শতাংশ মানুষের অন্নসংস্থান হয় মিষ্টি পাতার পান চাষ থেকে। বাংলা ছাড়াও অসম, মণিপুরে সাগরের মিষ্টি পাতা পানের বাজার রয়েছে। বিশেষ করে শিবগঞ্জ, বিষ্ণুপুর, চণ্ডীপুরে বড় বড় জমি নিয়ে বিস্তীর্ণ অংশে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। সবই জলের তলায়। কৃষকদের কথায়, লকডাউনে রোজগার না থাকলেও পানের বরোজটা বেঁচে ছিল। ঝড়ে একেবারে শেষ
হয়ে গেলাম।