প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এই বিপর্যয়ের মধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটেছে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা। বুধবার রাতে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহম্মদ তৌহিদ নামে এক যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের রিজেন্ট পার্কে দেওয়াল চাপা পড় মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। বৃহস্পতিবার সকালে ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পর্ণশ্রীতে জমা জলে ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে। বুধবার সন্ধ্যায় মনোহরপুকুর রোডে একটি বাড়িতে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকলের গাড়ি যাচ্ছিল। ঝোড়ো হাওয়ায় যাবতীয় তার ছিঁড়ে বাতিস্তম্ভ-সিগন্যাল পোস্ট নিয়ে দমকলের ওই গাড়ির উপরে পড়ে যায়।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বিভিন্ন অংশের অবস্থা ঘুরে দেখেন। তিনি পরে ফোনে বলেন, এই ঝড়ের প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা রাতেই বোঝা গিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে শহরের বিপর্যস্ত অবস্থা অতটা বোঝা যায়নি। কিন্তু এদিন সকালে রাস্তায় বেরিয়ে বুঝতে পারলাম, ঝড়ের আঘাতে কী ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হাসপাতাল শ্মশান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ যাওয়ার রাস্তাগুলো সাফাই করা। প্রথমে মূল রাস্তাগুলি কেটে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। এরপর থেকে ছোট রাস্তা ভেতরের রাস্তা এবং বাড়ির ওপরে থাকা গাছগুলি সরানোর কাজ শুরু হবে। এটা দু’-একদিনের কাজ নয়, কিছুটা সময় লাগবে। এদিন ফিরহাদ সাহেব পুরভবনে ফিরে দফায় দফায় বৈঠক করেন। যতটা দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন সকালে দেখা গেল, যাদবপুর, বাঘাযতীন, পাটুলি, টালিগঞ্জ, ভবানীপুর, কালীঘাট, হরিশ মুখার্জি রোড, চেতলা, পার্ক স্ট্রিট, বেহালা, টালিগঞ্জ, ক্যামাক স্ট্রিট, ক্যানিং স্ট্রিট, গড়িয়াহাট, রাজা এস সি মল্লিক রোড, রেড রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, ময়রা স্ট্রিট, সি আর অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার, বাগবাজার, কুমোরটুলি, খিদিরপুর সহ শহরের প্রায় সর্বত্র বড় রাস্তার উপরে হোক বা অলিগলিতে গাছ ভেঙে পড়ে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কাল রাত থেকেই শহরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কলকাতা পুরসভা ও পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা গাছ কেটে রাস্তা সাফ করার কাজে নেমে পড়েছেন। তবে পুরকর্তাদের কথায়, সমস্যা তৈরি হয়েছে চারপাশে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকায়। গাছগুলিতে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রয়েছে। ফলে যেকোনও সময় বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে। উল্টোডাঙায় উম-পুনের প্রভাবে বিধান শিশু উদ্যানেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। সীমানা বরাবর অন্তত প্রায় ৪০০ মিটার পাঁচিল পড়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিসের তথ্য বলছে, শহরে অন্তত ১০-১৫টি গাড়ির উপরে গাছ ভেঙে পড়েছে।