উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
মাত্র একমাস হল ইন্ডোর পরিষেবা চালু হওয়া নতুন বাড়িতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ছেলের সঙ্গে বাবাও থাকতেন ওয়ার্ডে। সেই সময় ছেলের রক্ত পরীক্ষার নমুনাগুলি নিয়ে তিনি সেন্ট্রাল প্যাথোলজিতে গিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, সকালের ব্যস্ত সময়ে কী করে এই ঘটনা ঘটল?
মেডিক্যালের সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের নির্মাতা সংস্থাকে দায়ী করেছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১০ তলা বাড়িতে কয়েকশো রোগী ও তাঁদের বাড়ির লোকজন থাকেন। অথচ কোনও গ্রিল ছাড়া কাচের বড় বড় জানলা করেছে। শুধু আত্মহত্যা নয়, অসুখ বিসুখের কারণে কোনও রোগী মাথা ঘুরেও সেখান থেকে পড়ে যেতে পারেন।
এদিকে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বড় ঘটনা ঘটার পর যা ঘটে, এক্ষেত্রে ততটাই তৎপরতা দেখা গিয়েছে কর্তৃপক্ষের। পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের তলব করে দ্রুত ১০ তলা এই বাড়ির সব জানলায় গ্রিল লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘিরে এদিন ব্যাপক আলোড়ন ছড়ায় মেডিক্যালে। চোখের সামনে এমন ঘটতে দেখে দুপুরেও ঘোর কাটছিল না বহু রোগী ও বাড়ির লোকজনের। তাঁদের থেকেই জানা গেল, আর পাঁচটা দিনের মতো এদিনও নিউরোমেডিসিনের ডাক্তাররা সাততলায় ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে এসেছিলেন। রিয়াজুদ্দিন যেখানে ছিলেন, তার কিছুটা দূরেই ছিলেন নিউরোমেডিসিনের প্রধান ডাঃ সন্দীপ পাল। হঠাৎ সবাই দেখে, চিৎকার করতে করতে একছুটে জানলার খুব কাছে চলে গিয়েছে সে। কিছু একটা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় ডাঃ পাল চিৎকার করে ওঠেন, ধর, ধর, ধর। আশপাশ থেকে অন্যান্য রোগী ও বাড়ির লোকজন জাপটে ধরার চেষ্টা করে তাকে। কিন্তু ততক্ষণে বাকিদের আঁচড়ে-খিমচে রোগী ছিটকানি খুলে জানালার বাইরে ঝাঁপ দেয়। শেষ পর্যন্তও বাঁচানোর চেষ্টা করায় অন্য রোগীদের হাতে চলে আসে রিয়াজুদ্দিনের পোশাকের অংশ। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নীচ থেকে ভেসে আসে চিৎকার।