বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গত ২২ জুন রাতে মল্লিকপুর স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রশিংয়ের কাছে নিজামুদ্দিন মণ্ডল নামে ওই যুবক খুন হন। অভিযোগ তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একেবারে সামনে থেকে বুক লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এরপর মোটরবাইকে করে আততায়ীরা পালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, শাসকদলের একটি অংশের আশ্রয়ে ছিল আততায়ীরা। তদন্তে নেমে পুলিস আততায়ী আলতাফ বৈদ্যর নাম জানতে পারে। এও জানতে পারে আলতাফ গোটা মল্লিকপুরের ত্রাস। প্রোমোটিং, জমির কারবারিদের থেকে তোলা আদায়সহ নানাবিধ অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের একটি অংশের সঙ্গে যোগসাজশে ভোটও করিয়েছে। ওই ঘটনার পরদিন এলাকার মানুষ অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের দাবিতে ট্রেন আটকে দেয়। ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিস গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। মৃত ব্যক্তি তাদের দলের সমর্থক বলে সিপিএম দাবি করে। দলের রাজ্য নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। শুধু তাই নয়, দশদিনের মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের ধরার জন্য এরপর অভিযানে নামে। কিন্তু তাদের ধরা যায়নি। মোবাইল ট্র্যাক করা হয়। কিন্তু সুইচ অফ থাকায় কোনও কিছু করা যাচ্ছিল না।
পুলিস জানিয়েছে, আলতাফ ও তার সঙ্গীরা ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরিয়ে যায়। ট্রেনে কখনও বাসে করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং তারপর রাজস্থানে চলে যায়। বিভিন্ন সময়ে এই সব জায়গাতে ঘর ভাড়া করে নাম ভাঁড়িয়ে থেকেছে। প্রথম দিকে মোবাইল ট্র্যাক করে পাওয়া না গেলেও কয়েকদিন হদিশ মেলে। দেখা যায়, রাজস্থানের আজমিরে আলতাফের অবস্থান। এরপর বারুইপুর পুলিস ও এসওজির একটি দল যৌথভাবে রাজস্থানের দিকে রওনা দেয়। বুধবার রাতে আজমিরে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তিনজনকে ধরে পুলিস।