বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিকে, স্কুলের শিক্ষকদের বিক্ষোভ এবং ক্লাস না করার ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিশেষ করে স্কুলের পড়ুয়ারা এসে জানতে পারে, ক্লাস হবে না। তাই তাদের অনেকেই বাড়ি ফিরে যায়। এই খবর জানাজানি হতেই রাজারহাট থানার পুলিস স্কুলে যায়। শিক্ষকদের বুঝিয়ে ক্লাস শুরু করার আবেদন জানায়, কিন্তু শিক্ষকদের অভিযোগ ছিল, মঙ্গলবার ডিআই অফিসে গিয়ে এবিষয়ে সমাধান করার আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেখান থেকে কোনও সমাধানসূত্র না মেলাতেই এদিন তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে এবং ক্লাস না করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
স্কুলের শিক্ষক তিমির মণ্ডল বলেন, স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশনের কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় বহুজন পেনশন পাচ্ছেন না। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলা ইতিমধ্যে তাঁরা জিতে গিয়েছেন। আদালত থেকে স্কুলের কাছে কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সেই নথি আদালতে জমা পড়েনি। ফলে সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা আদালত অবমাননার অভিযোগ করে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলা এখনও চলছে। এর জেরে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বাকি শিক্ষকদেরও বেতন আটকে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বাকি সব শিক্ষকরা।
তিমিরবাবু আরও বলেন, গত ২৭ জুন থেকে প্রধান শিক্ষক স্কুলেই আসছেন না। বাকি শিক্ষকদের বেতন সমস্যা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে জানিয়েছেন, তিনি পুরীতে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁরা ডিআই এবং স্কুল পরিচালন কমিটির দ্বারস্থ হয়েছেন। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি বিকাশ ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হবে সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে হলে, সেবিষয়েও ডিআই-এর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এদিকে, এবিষয়ে ডিআই (বারাসত) শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, খুব শীঘ্রই বেতন সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা বিষয় নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, বারবারই তাঁর ফোন স্যুইচড অফ বলা হয়েছে।