বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস ও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুন হওয়া যুবকের নাম লালা চৌধুরী (৩২)। ভাটপাড়ার কাঁকিনাড়ায় ৬ নম্বর গলিতে তাঁর বাড়ি। পেশায় তিনি ফুচকা বিক্রেতা ছিলেন। এদিন সকালে হাসনাবাদ থেকে মাঝেরহাটগামী লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কামরায় একটি ঝুড়ি দেখে সন্দেহ হয় অন্য যাত্রীদের। ঝুড়ির উপরে মাছি ভনভন করছিল। তারপর চলন্ত ট্রেন থেকেই বারাসত থানার জিআরপিকে খবর দেওয়া হয়। ট্রেনটি বারাসত স্টেশনে পৌঁছানোর পর জিআরপি ওই ঝুড়ি উদ্ধার করে। খুলে দেখা যায়, তাতে একটি কাটা মুণ্ডটি রয়েছে। তা দেখে সবাই আঁতকে ওঠে। ওই কাটা মুণ্ডর সঙ্গে শরীরের অন্য একটি অঙ্গের কিছু অংশও পাওয়া গিয়েছে। বারাসত জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য জিআরপি মুণ্ড ও অন্য অঙ্গের অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়।
অন্যদিকে, ভাটপাড়ার কাঁকিনাড়ার ২৯ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন কাঁটাপুকুর এলাকায় এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিস। কিন্তু, মৃতের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। সেই দেহ বারাকপুরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। শিয়ালদহের এসআরপি অশেষ বিশ্বাস বলেন, মুণ্ডর সঙ্গে দু’টি পলিথিন ছিল। একটি পলিথিনের গায়ে ভাটপাড়া মোড়ের একটি ঠিকানা ছাপা ছিল। সেই ঠিকানা ধরেই আমরা তদন্ত শুরু করি। খোঁজ করে জানা যায়, কাঁকিনাড়া এলাকায় রেল লাইন থেকে কিছুটা দূরে (পুলিসের এলাকায়) একটি মুণ্ডহীন দেহ মিলেছে। তারপরই মৃতের পরিচয় জানা যায়। পুরো ঘটনাটিরও কিনারা হয়। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি জোন-১ অজয় ঠাকুর বলেন, ওই যুবক প্রতিদিনই ফুচকা বিক্রি করতে যেতেন। মঙ্গলবারও তিনি নৈহাটিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ওই রাতে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। আমরা খুনের তদন্ত শুরু করেছি।
জিআরপি ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ট্রেনে ওই কাটা মুণ্ডটি পাওয়া গিয়েছে সেই ট্রেনটি নৈহাটি থেকে রাতের বেলা শিয়ালদহে যায়। সকালে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি হাসনাবাদে যায়। তারপর হাসনাবাদ থেকে ওই ট্রেনটি যায় মাঝেরহাট। অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতেই ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। তারপর নৈহাটি থেকে ওই ট্রেনটি যখন শিয়ালদহ যাচ্ছিল তখন কাটা মুণ্ডটি ট্রেনের মধ্যে তুলে দেওয়া হয়।