বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মেয়র নির্দিষ্টভাবে দক্ষিণ কলকাতার এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে হুমকি প্রসঙ্গে এ কথা বললেও এ বার্তা যে সারা শহরের সাধারণ নাগরিকের উদ্দেশে, তা বলাই যায়। বিভিন্ন এলাকার রাজনৈতিক ক্ষমতাধর দাদা-দিদিদের নাম করে নানা অকাজ-কুকাজের অভিযোগ কলকাতায় নতুন নয়। সাধারণ মানুষকে এর জন্য জেরবারও হতে হয় যথেষ্ট। সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে শহরের বিভিন্ন অংশে শাসকদলের ভোটব্যাঙ্কে ধস এমন অভিযোগের সত্যতাকে কিছুটা হলেও প্রমাণ করেছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে খোদ মেয়রের এমন আশ্বাসবাণী তাৎপর্যপূর্ণ এবং নাগরিকদের আশা জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন মেয়র ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান শেষে বলেন, যে কারও নাম ব্যবহার করে কেউ শাসালে তা গ্রাহ্য হবে না। আমার নাম করেও তো কেউ কোনও খারাপ কাজ করতে পারে। তাই বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। মনে রাখতে হবে, প্রশাসন চলবে স্বচ্ছভাবে। এদিন ‘টক টু মেয়র’-এ প্রায় ৩০টি ফোন কল ধরেন মেয়র। বেহাল রাস্তা, জঞ্জাল জমে থাকা, আলোকস্তম্ভের বাতি না জ্বলা সহ নানা অভিযোগ নিয়ে ফোন আসে। তবে এর মধ্যে পাঁচ-ছ’টি অভিযোগই ছিল বেআইনি নির্মাণের। এত অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, অভিযোগ যখন আসছে আমাদের অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। তবে কোথাও কেউ একটু ঠাকুরঘর করল বা ছোট্ট জায়গায় নতুন বাথরুম করল, সেগুলোকে আমরা বিবেচনা করে ছাড় দেব। কিন্তু কোনও প্রোমোটার বিল্ডিং প্ল্যান না মেনে একটি বা দু’টি ফ্লোর তুলে ফেলল, তা আমরা হতে দেব না।
পুর-পরিষেবা সংক্রান্ত আরও অভিযোগের জন্য একটি অ্যাপ চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান মেয়র। ‘টক টু মেয়র’ যে ইতিমধ্যে নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, তা এত ফোন আসাতেই বোঝা যাচ্ছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ সাহেব। প্রতি বুধবার হবে এই কর্মসূচি।