উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুর যেতে প্রায় চার ঘণ্টা লাগে। সেইটুকু সময় যাতে যাত্রীরা একটু আরাম করে যেতে পারেন, তার জন্য এই অত্যাধুনিক বিমান নিয়ে এল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। এই বিমানের মূল বৈশিষ্ট হল, এটি আগের মডেলের (এ-৩৩০) চেয়ে আরও বেশি চওড়া। জানালার মাপও কিছুটা বড়। পা রাখার স্পেসও আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। বিমান সংস্থার দাবি, জেটল্যাগ কাটাতে এই সব নতুন বৈশিষ্ট যাত্রীদের সাহায্য করবে। বিজনেস ক্লাসে আসন বণ্টন ১-২-১ ছকে করা হয়েছে। কলকাতা থেকে নতুন এই বিমান পরিষেবা চালু উপলক্ষে টিকিটের বিশেষ আকর্ষণীয় অফার এনেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। তারা জানিয়েছে, ৩১ মে’র মধ্যে ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কিনলে, তা পাওয়া যাবে ১৬ হাজার টাকায় (আসা-যাওয়া)। বিজনেজ ক্লাসে এই দাম ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার ৪১০ টাকা। যাত্রীরা এই টিকিট এপ্রিল ২০২০’র মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
টিকিটে আকর্ষণীয় অফার যেমন দেওয়া হচ্ছে, তেমনই আরও বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরে। জুয়েল চাঙ্গি এয়ারপোর্টে যে কৃত্রিম জলপ্রপাত তৈরি করা হয়েছে, তা অত্যাশ্চর্য। তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একটি কৃত্রিম জঙ্গল। এর নাম ‘শিশেদো ফরেস্ট ভ্যালি’। সব মিলিয়ে ১২০ প্রজাতির গাছ বসানো হয়েছে। সাত তলা সমান বা ৪০ মিটার লম্বা এই জলপ্রপাত পৃথিবীর বৃহত্তম ইন্ডোর জলপ্রপাত। বর্ষার জমানো জলই এই জলপ্রপাতের মূল উৎস। মিনিটে ৩৮ হাজার লিটার জল ওপর থেকে নীচে পড়ে। এই দ্রষ্টব্যকে ঘিরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড-এর ব্যবস্থাও রয়েছে। যা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে।
চাঙ্গি এয়ারপোর্টের একটি অংশেই এই ‘জুয়েল’ তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করতেই লেগেছে পাঁচ বছর। এয়ারপোর্ট দিয়ে ঢুকে বেশ কিছুটা হেঁটে গেলে এই ‘জুয়েল’-এর প্রবেশ পথ। সেখানেই রয়েছে সারি সারি খাবারের দোকান এবং রকমারি বিপণি। তবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই জলপ্রপাতই। চার তলা এই জুয়েল-এর মধ্যে দিয়েই চলাফেরা করছে স্কাই ট্রেন। তাতে করে এই দ্রষ্টব্যের একেবারে কাছ দিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর ঘটনা হল, এই জুয়েল ঘুরতে একটি কড়িও খরচ করতে হবে না পর্যটকদের। আগামী মাস থেকে এই জলপ্রপাতের উপর দিয়ে একটি হাঁটার জায়গাও খুলতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। এর নাম ক্যানোপি ওয়াক।