উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
আমাদের বালি ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল বালির নববর্ষকে প্রত্যক্ষ করা। আর সত্যিই লেখাটা লিখতে বসে মনে হচ্ছে ভাগ্যিস বছরের অন্য সময় বালি যাওয়ার পরিকল্পনা করিনি। কারণ সেটা করলে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতাম। নববর্ষ উদ্যাপন করা হয় না পৃথিবীতে এরকম দেশ খুঁজে পাওয়া ভার। আর বালির নববর্ষ তাঁর স্বমহিমায় উজ্জ্বল। বালিনিজ ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ‘নেপিই ডে’ (Nyepi Day)। ‘নেপিই’ শব্দের অর্থ-ডে অব সাইলেন্স। অর্থাৎ নীরবতার দিন। আর স্থানীয়রা দিনটিকে পবিত্র হিসেবেই মনে করেন। জন সাধারণ উপবাস, পুজো, ও নীরবতার মাধ্যমে দিনটা উদ্যাপন করেন। সরকারি নিয়ম মাফিক সারা শহরে একদিনের ছুটি, কর্মবিরতি। টিভি চ্যানেল, রেডিও, সংবাদপত্র, ইন্টারনেট সব বন্ধ। বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ। এমনকী সন্ধ্যার পর ঘরে আলো জ্বালা নিষেধ। বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তার আলো। তবে মোমবাতি বা লণ্ঠন চলতে পারে। শুধুমাত্র আপদকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়।
এই বছর বালিতে নববর্ষ ছিল ৭ মার্চ। সেদিন আমরা সেমিনইয়্যাকে। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে ট্যুরিস্টদের এই কড়াকড়ি থেকে ছাড় দেওয়া হয়। ভাবলে ভুল করবেন। কারণ বালিতে এই দিন সকলের জন্য একই নিয়ম। নববর্ষের আগের দিন থেকেই সমস্ত হোটেলে নির্দেশিকা জারি হয়। ভোর ছ’টা থেকে পরদিন ভোর ছ’টা পর্যন্ত হোটেলের বাইরে বেরনো নিষেধ। কার্যত গৃহবন্দি অবস্থা। অনেকটা অঘোষিত কার্ফুর মতো। কিন্তু আমরা বাঙালি। বাড়তি প্রশ্ন বা নিয়ম ভাঙা আমাদের রক্তে! যথারীতি ধরেই নিয়েছিলাম যে এইসব নিয়ম শুধুমাত্র খাতা কলমেই প্রযোজ্য। ভুল ভাঙল নববর্ষের দিন সকালে। সকাল থেকেই টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হোটেলের রিসেপশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হল দুপুরের পর থেকে কোনওরকম রুম সার্ভিস পাওয়া যাবে না। ঘরে ব্যবস্থা থাকলে ডিনার বানিয়ে নিতে হবে, নাহলে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ছাড়া গতি নেই। আমাদের প্রয়োজন মতো কেনাকাটি করাই ছিল। অগত্যা মেনু সেট করে নিলাম। নুডলস ও চিকেন সালামি। দেখলাম ভাগ্যক্রমে হোটেলের ওয়াইফাই কাজ করছে। বাড়িতে খবর দিয়ে দিলাম। এদিকে ঘুরতে গিয়ে হোটলে চব্বিশ ঘণ্টা বসে থাকাটা মেনে নেওয়া বেশ কষ্টকর। কিছুক্ষণের মধ্যেই মনের কোণে একঘেয়েমি বাসা বাঁধল। অতএব সাংবাদিকের মনে প্রশ্ন জাগল, এখন বাইরের অবস্থা কীরকম? সত্যিই কি রাস্তাঘাট ফাঁকা? ঘরের বাইরে ছাতা রাখাই ছিল। স্ত্রীর কথা একরকম অমান্য করেই হোটেলের বাইরে বড় রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। বেরনোর সময়ে দেখেছিলাম রিসেপশন ফাঁকা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সত্যিই অবাক হওয়ার জোগাড়। শুধুই বৃষ্টির শব্দ, জনমানব শূন্য শহরটাকে মনে হচ্ছিল যেন মৃত্যপুরী বা যুদ্ধ পরবর্তী পরিত্যক্ত জনপদ। লোভ সামলাতে না পেরে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে বেশকিছু ছবিও তুলে ফেললাম। ঘড়িতে তখন দুপুর বারোটা। পাঁচ-সাত মিনিট কেটেছে। মুগ্ধ হয়ে একদিন আগের কোলাহলে ভরপুর শহরটার বদলে যাওয়া রূপটাকে চাক্ষুষ করছি। দূর থেকে দেখলাম পাঁচ-সাতজন লোক হাত ধরে এগিয়ে আসছে। পরনে আমাদের ফতুয়া-লুঙ্গির মতো সাদা-কালো পোশাক। অবাক হলাম। পরক্ষণেই মনের ভেতর থেকে কে যেন বলে উঠল-যাক বাঁচা গেল। ওদের সঙ্গে না হয় কিছুক্ষণ গল্প করা যাবে। নববর্ষ সম্বন্ধে আরও কিছু তথ্য আদায় করা যাবে। হঠাৎ পিছন থেকে কাঁধে একটা হাত এসে চেপে বসল। সঙ্গে গম্ভীর কণ্ঠস্বর, ‘স্যার কী করছেন! আপনি কি পাগল?’ দেখলাম রিসেপশনের বাচ্চা ছেলেটি হাজির হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলাম, কেন কী হয়েছে? উত্তর এল, ‘ওরা ধর্মীয় পুলিস, পেকালাং। উৎসব নিয়মমাফিক পালিত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য আজ সারাদিন ওরা দল বেঁধে শহর পাহারা দেবে। আপনি এক্ষুনি ভেতরে চলুন নাহলে আমরা বিপদে পড়ব। আপনি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারেন!’ আর কথা না বাড়িয়ে সোজা হোটেলের ঘরে ফিরে দম ফেললাম। স্ত্রী রেগে কাঁই। বুঝলাম এ যাত্রায় কান ঘেঁষে বেঁচে গিয়েছি।
আরও একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। সন্ধ্যায় তখন শহরের আলো নিভেছে। আবিষ্কার করলাম আমাদের খাওয়ার জল প্রায় শেষ। রিসেপশনে ফোন করতে জানা গেল এখন আর জল পাওয়া যাবে না। মোবাইলে গান চলছে। এদিকে দরজায় টক টক শব্দ। মনে মনে ঠিক করেছি বয়টিকে আচ্ছা বকা দেব। জল চাইলে জল পাওয়া যাবে না! সে আবার হয় নাকি। দরজা খুলতেই চমক। টর্চ হাতে দাঁড়িয়ে এক পেকালাং মানে ধর্মীয় পুলিস! কী বলব বুঝতে পারছি না। ততক্ষণে পিছনে মোবাইলে গানের ভল্যুমটা স্ত্রী কমিয়ে দিয়েছে। লম্বা লোকটির হাতে দুটো জলের বোতল। সে বলে চলল, ‘আপনারা জল চেয়েছিলেন। খবর পেয়ে আমরা দিতে এলাম।’ বুঝলাম হোটেল থেকে পুলিসের কাছে আমাদের সমস্যাটি কেউ জানিয়েছেন। অগত্যা তাঁরা উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বিদেশ বিভুঁইয়ে এক অদ্ভুত রাতে পুলিসের এই সাহায্য সত্যিই ভোলার নয়। সেই অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধন্যবাদ।
এবার একদিন পিছিয়ে যাওয়া যাক। নববর্ষের দিন সারা শহরে ‘কার্ফু’ জারি থাকলেও বালিতে প্রকৃত উৎসবের ছোঁয়া পাওয়া যায় তার আগের দিন। অর্থাৎ বছরের শেষ দিন। সকাল থেকেই সারা শহর উৎসবের স্রোতে গা ভাসায়। ভোর থেকেই শহরের সমস্ত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ভিড়। স্থানীয়রা পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছেন। আমরাও সময় নিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ফেললাম। কারণ তখনও জানিনা ‘নেপিই’র দিন ঠিক কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তাই সাবধানের মার নেই। রাস্তায় ধবধবে সাদা পোশাকে স্থানীয় মহিলা-পুরুষরা সারবদ্ধভাবে মিছিল করে চলেছেন। মহিলাদের মাথায় ছোট ছোট টুকরি থেকে ফুল ও সুগন্ধি ধূপ উঁকি দিচ্ছে, পরনে স্কার্টের মতো পোশাক (সারং)। গন্তব্য কাছের মন্দির। দেবতাকে ভোগ নিবেদনের মাধ্যমেই অধিকাংশ বালির মানুষ এই দিনটা শুরু করেন। তবে এখানেই শেষ নয়। শুনলাম উৎসবের আসল ছবি দেখা যাবে সন্ধ্যায়। প্রতিযোগিতা হবে। সমস্ত পাড়াগুলো শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। ‘ওগো ওগো’র প্রদর্শন হবে। কয়েকদিন ধরেই চোখে পড়ছিল। এবারে লোকাল গাইডের কল্যাণে তাদের ইতিহাস জানতে পারলাম। আসলে বিশাল বিশাল কাগজের তৈরি রাক্ষসদের বলা হয় ‘ওগো ওগো’। দেখলে মনে হবে যেন কলকাতার কুমোরটুলিতে হাজির হয়েছি। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এইদিন রাক্ষসকে পোড়ানোর মাধ্যমে পরিবেশে ভালো ও খারাপ শক্তির সমতা বজায় থাকবে। তার থেকেও বড় কথা রাক্ষস ও দৈত্যদের তুষ্ট করতে পারলে নাকি বালি দ্বীপের শান্তি বজায় থাকবে। ব্যাপারটা অনেকটা আমাদের দেশের দশেরা বা দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়ার মতো।
সন্ধ্যায় হোটেলের নিকটবর্তী রাস্তার চার মাথার মোড়ে হাজির হলাম। ভিড়ে টেকা দায়। অধিকাংশ ট্যুরিস্ট বিদেশি। ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে চোখ ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। রীতিমতো প্যান্ডেল করে বিচারকরা অপেক্ষা করছেন। মাইকে স্থানীয় ভাষা ও ইংরেজিতে প্রতিটা পাড়ার ওগো ওগোদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। পুতুলগুলো আকারে একতলা সমান। বীভৎস তাদের রূপ। কারও মাথা কুমিরের মতো তো কারও তিন-চারটে মাথা। দশ থেকে কুড়িজন ভক্তদের এক একটা দল নিজেদের কাঁধে বাঁশের মাচায় ওগো ওগোদের বিচারকদের সামনে হাজির করছেন। সামনে মেয়েদের হাতে মশাল এবং ছেলেদের হাতে মাদল ও খঞ্জনির মতো বাদ্যযন্ত্র। সেই অদ্ভুত মায়াবী সুর এখনও কানে বাজে। অধিকাংশ রাক্ষসের থিম বা নামের সঙ্গে মহিষাসুর বা রাবণের নামের মিল দেখে তখন কলকাতাকে খুব মিস করছিলাম। অপূর্ব শোভাযাত্রা। আমাদের থিমের দুর্গাপুজো বা প্রতিমা নিরঞ্জনের কথা মনে করিয়ে দেয়। জানা গেল প্রদর্শনের পর এই সব রাক্ষস আবার নিজের নিজের এলাকায় ফিরে যাবে। তাদের পোড়ানো হবে। তারপরেই স্থানীয়রা খাওয়াদাওয়া ও হইহুল্লোড়ে মাতবে। শুরু হবে নেপিইর প্রস্তুতি। সেই অভিজ্ঞতা নিবন্ধের শুরুতেই বলেছি।
এতক্ষণ এই লেখা পড়ে মনে হতেই পারে যে বালি ভ্রমণের জন্য ‘অল সোলস ডে’কে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। শুরুতে আমরাও ঠিক তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু এই ধর্মীয় আচার উৎসবের আকর্ষণ ও বালির মানুষের আতিথেয়তায় সেই ধারণা এতক্ষণে বদলে গিয়েছে। কোলাহল ও নিস্তবব্ধতায় দুটো দিনের বৈপরীত্য যেন বালিকে আরও বেশি আত্মিক করে তোলে। নিজেকে নতুন করে চিনতে সাহায্য করে। নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর অবকাশ খুঁজে দেয়। বছরের অন্যান্য সময়ের সঙ্গে পার্থক্য গড়ে দেয়। আর অবশ্যই কানে কানে বলে দেয় আসছে বছর আবার হবে, ঠিক এই একই দিনে।
কী কী দেখবেন: বালিতে অবশ্যই দেখবেন টানা ল মন্দির। কুটার ২০ কিমি উত্তরে সমুদ্র সৈকতে এই শতাব্দী প্রাচীন মন্দির সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত। দেখবেন সমুদ্র তীরবর্তী বালির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উলুওয়াটু মন্দির। এছাড়াও রয়েছে আগুং পর্বতের পশ্চিম ঢালের মাতৃমন্দির বেসাখি। কিন্তামানি আগ্নেয়গিরি ও পার্শ্ববর্তী বাটুর লেক, উবুদের মাঙ্কি ফরেস্ট ও গোয়া গাহা মন্দির।
ভিসা: ভারতীয়দের জন্য বালির ভিসা ফ্রি (অন অ্যারাইভাল ভিসা)। ইন্দোনেশিয়া সরকার ভারতীয়দের বালিতে একটানা ৩০ দিন থাকার সুযোগ দেয়। অভিবাসনের জন্য ট্যুরিস্টের কোনও ছবির প্রয়োজন নেই।
কারেন্সি বিনিময়: বালিতে মার্কিন ডলার নিয়ে যাওয়াই ভালো। রাস্তায় অজস্র মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টার রয়েছে। তবে চেষ্টা করবেন নো কমিশন কাউন্টার থেকে বিনিময় করতে। কারণ এরা রিসিট দেয়। আমাদের তুলনায় ওদের টাকার দাম অনেকটা কম বলে হিসেবে সমস্যা হতে পারে(সর্বোচ্চ নোট ১ লক্ষ ইন্দোনেশিয়ান রুপাইয়া)। মোবাইলে কারেন্সি কনভার্টার অ্যাপ থাকলে সুবিধা হবে। কিছু কিছু জায়গায় ভারতীয় টাকাও বিনিময় করা যায়।
বিমান: কলকাতা থেকে বালি (গুরা রাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) যাওয়ার জন্য কোনও সরাসরি বিমান নেই। ভায়া কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুর হয়ে যেতে হয়।
খাওয়াদাওয়া: বালিকে সি ফুডের স্বর্গরাজ্য বলা যায়। রাস্তায় সার দিয়ে পাব ও ক্যাফে। পরিচিত সমস্ত আন্তর্জাতিক রেস্তরাঁর ছড়াছড়ি। তাই খাবার নিয়ে বিশেষ চিন্তা নেই। বাঙালিদের সঙ্গে খাবারের যথেষ্ট মিলও রয়েছে। বিশেষ করে মাছ ও ভাত। অবশ্যই চেখে দেখবেন স্থানীয় নাসিগোরেং (ফ্রায়েড রাইস) ও মি গোরেং (নুডলস)। খেতে পারেন চিকেন স্টিক। খাবারের পরিমাণ একটু কম। তাই বেশি অর্ডার করতে হতে পারে।
কেনাকাটা: এখানে স্ট্রিট শপিংই সেরা। অবশ্যই কিনবেন বিখ্যাত বালি ব্যাগ। দরাদরি করতে ভুলবেন না। এক ছাদের তলায় রকমারি স্যুভেনির পেতে হলে ঢুঁ মারতে পারেন ‘আগুং বালি’তে।
ট্যুর অপারেটর: বালিতে অজস্র ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে। দরাদরি করে এদের থেকে সস্তায় বিভিন্ন ট্যুর বা সারাদিনের গাড়ি (২৫-৩০ মার্কিন ডলার) বুক করা যায়। ট্যক্সি ব্যয়বহুল। চালাতে জানলে সারাদিনের জন্য মোটরসাইকেল ভাড়া করে নেওয়া যায়। আরোহীর বিমা আছে কিনা দেখে নেওয়া উচিত।
ধ্রুপদী নৃত্যনাট্য: বালিতে স্থানীয় ধ্রুপদী নৃত্যনাট্যর অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাটা বোকামো। বিভিন্ন নৃত্যশৈলীর মধ্যে বারং (ভালো ও খারাপের লড়াই) কেচাক নাচ জনপ্রিয়। মূলত মহাভারত ও রামায়ণ থেকে নৃত্যনাট্যের কাহিনী ধার করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় টিকিট কেটে এই নৃত্যকলা দেখা যায় (জনপ্রতি ২৫০-৫০০ ভারতীয় টাকা)।
ছবি: লেখক