বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি ব্লকে ৩৭০০ হেক্টর ও ধূপগুড়ি ব্লকে ১২,৫০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। আলুর ব্যাপক চাষে উত্তরবঙ্গের মধ্যে ধূপগুড়ির আলাদা নাম রয়েছে। চলতি মরশুমে আলুর ফলন ভালো হলেও এবছর আলুর বীজ থেকে সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের মধ্যে ।
ময়নাগুড়ি ব্লকের মধ্য খাগড়াবাড়ি এলাকার আলুচাষি জাহির হাসান, আলি জিন্না বলেন, এই বছর আলু গাছ ভালো বৃদ্ধি পেয়েছে। আলুর ফলনও ভালো হয়েছে। আলুর আকারও যথেষ্টই ভালো। তবে কিছু আলু গাছে সামান্য পচন ধরেছিল। কিন্তু নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। আমাদের আশা, এ বছর আলুচাষে আমরা লাভের মুখ দেখতে পাব। তবে আমাদের দাবি, কৃষি প্রযুক্তি সহায়করা আমাদের যদি একটু সহযোগিতা করেন, তাহলে আরও সুবিধা হয়।
ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আলুচাষি রুবেল দাস বলেন, ফলন তো ভালো হয়েছে। গত সপ্তাহে আমি নিজে আলু বিক্রি করেছি ১২০০ টাকা কুইন্টাল হিসেবে। তবে আলুর বীজ প্রথম পর্যায়ে খুব নিম্নমানের ঢুকেছিল বাজারে। দুই ব্লকের কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষে বীজ, ওষুধ, মজুরি সহ প্রায় আঠারো থেকে কুড়ি হাজার টাকা খরচ। তবে চাষ ভালো হলে এক গাড়ি সাদা আলু আশি হাজার টাকা এবং লাল আলু এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
জলপাইগুড়ি মহকুমা কৃষি আধিকারিক পাপিয়া ভট্টাচার্য বলেন, এবার আলু চাষে কৃষকরা লাভের মুখ দেখবেন, এটা তো খুশির কথা। তবে যেহেতু এখনও মাঠে আলু রয়েছে, সব আলু তোলা হয়নি, তাই কৃষকদের নিয়মিত জমিতে নজর রাখতে হবে। কারণ, এই সময়ে দিনের বেলায় সূর্যের তাপমাত্রা বাড়ছে। অপরদিকে সন্ধ্যার পর ঠান্ডা পড়ছে। আর এর ফলে ধসা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তবে কৃষকরা নিয়মিত গাছে স্প্রে করে চলেছেন।
আলুচাষিদের বলব, জমিতে আলু গাছ পচা দেখলে তা উপড়ে ফেলে দিন। নিয়মিত নজর রাখুন ও নিয়ম মেনে প্রতিষেধক স্প্রে করুন। তিনি বলেন, কেপিএস নিয়ে যে অভিযোগ আছে তা স্বাভাবিক। জলপাইগুড়ি মহকুমায় ১১৬ জন কেপিএস থাকা প্রয়োজন, সেখানে আমাদের মাত্র ৩৮ জন কেপিএস আছেন। তাঁরা কৃষি দপ্তরে নানা কাজ করেন।