প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডের কালো হাঁস ৯৫ দিনের মধ্যেই ডিম দিতে শুরু করে। বছরে প্রায় ৩০০টি ডিম দেয়। দ্রুত বেড়ে ওঠে। তাই এই হাঁস চাষ করলে মাংসের ঘাটতি মিটবে। বাংলাদেশে এই প্রজাতির হাঁস চাষ ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। সেখানকার গ্রামীণ এলাকায় অনেকেই এই চাষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিক তারাশঙ্কর পান বলেন, জেলায় খাঁকি ক্যাম্বেল চাষ হয়। নতুন প্রজাতির এই চাষে কতটা লাভ হবে তা নিশ্চিত হওয়ার পরেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কালো হাঁসের চাষ করা চাষি দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, বিশেষ এই হাঁসের কথা জানতে পেরে বাংলাদেশ থেকে ডিম সংগ্রহ করে এনেছি। বাচ্চা দ্রুত বেড়ে উঠেছে। এ ধরনের হাঁসের গায়ের রং কালো। তবে গলায় সাদা রং রয়েছে। দ্রুত বৃদ্ধি হওয়ায় ডিম এবং মাংস দুটিই খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে। ডিমের স্বাদও একই রকম। প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশে এই হাঁসের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই কারণে ওই দুই দেশে ব্যাপকভাবে চাষ বাড়ছে। এ রাজ্যেও থাইল্যান্ডের কালো হাঁস দ্রুত বাজার দখল করবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগে করকনাথ বা কালো মাসি মুরগির সঙ্গে রাজ্যের বাসিন্দাদের পরিচয় ঘটে। আসানসোলের এক পাখি ব্যবসায়ী এই মুরগি চাষ শুরু করেছিলেন।
পরে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তর এই মুরগির চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। এই মুরগির মাংস এবং ডিম দুইয়ের দাম বেশি। গুণাগুণও অনেক বেশি বলে আধিকারিকদের অনেকের দাবি। এই মুরগি চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। তেমনই থাইল্যান্ডের কালো হাঁস চাষ করেও প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা সাফল্যর মুখ দেখবেন বলে মনে করছেন অনেকেই।