বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
এই সূচকের মধ্যম মান হল ৫০। সূচক এর নীচে থাকার অর্থ শিল্পে সংকোচন শুরু হয়েছে। সোজা কথায় বিভিন্ন কল-কারখানায় উৎপাদন ভালো হচ্ছে না। সূচক ৫০ এর উপর থাকা মানে অর্থনীতি চাঙ্গা আছে। এপ্রিল মাসের পিএমআই নেমে হয়েছে ২৭.৪। প্রায় তিন বছর পর এই সূচক ৫০ সীমার নীচে নেমে এসেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কোভিড ১৯ এর কারণে ব্যবসা যেমন বন্ধ রয়েছে, তেমনই চাহিদাও অনেক কমেছে। গত আড়াই বছরে এমন পতন দেখা যায়নি। রপ্তানি ক্ষেত্রেও অবস্থা খারাপ। বস্তুত করোনা সংক্রমণের জেরে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিতেই এখন টালমাটাল অবস্থা। তার প্রভাব পড়েছে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ভারতীয় অর্থনীতিতেও। ২০১৭ এর অক্টোবরের পর গত মার্চেই প্রথম রপ্তানি বাণিজ্য মার খায়। এপ্রিলে সেই পতন আরও গতি পেয়েছে। গত ১৫ বছরে এত দ্রুত পতন দেখা যায়নি। সমীক্ষায় আরও যে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সেটি হল কর্মসংস্থান। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সংস্থা এপ্রিলে বহু কর্মী ছাঁটাই করেছে। কর্মী সংকোচনের এই হার ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।
এতো গেল চাহিদার দিক। সমীক্ষায় জোগান নিয়েও নজিরবিহীন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জিনিসের দাম কমের দিকে থাকবে। কারণ ইনপুট ও আউটপুট - দুক্ষেত্রেই ব্যয় কমবে। এর অন্য বিপদ হল, মুদ্রাস্ফীতির হার চার শতাংশের নীচে নেমে গেলে সুদের হার অনেকটা কমাতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। সেক্ষেত্রে তাল মিলিয়ে সুদ কমাতে বাধ্য হবে সাধারণ ব্যাঙ্কগুলি। তাদের কাছে এটা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। সবমিলিয়ে মার্চে ভারতীয় অর্থনীতি করোনার ধাক্কা সামলাতে পারলেও, এপ্রিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।