বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
মাদার ডেয়ারির দাবি, ২০০৯ সাল থেকে দুর্গাপুর কারখানাটি এক প্রকার ব্রাত্য হয়েই পড়েছিল। সেখানেই নতুন করে খোলা হয়েছে আইসক্রিম বিভাগ। প্রায় আট কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তার পুনরুজ্জীবন হয়েছে। সেখানে আইসক্রিম তৈরির ভার দেওয়া হয়েছে একটি পেশাদার বেসরকারি সংস্থাকে। দিনের প্রতিটি শিফটে ওই কারখানায় পাঁচ হাজার লিটার আইসক্রিম তৈরির ক্ষমতা রাখা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী একাধিক শিফটে উৎপাদনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে সেই উৎপাদন। রাজ্যের প্রাণীসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কথায়, দুর্গাপুরের স্টেট ডেয়ারি তো বন্ধ হয়েই পড়েছিল। আমরা সেটিকে কাজে লাগাচ্ছি। ব্যবসার বহর কী করে বাড়ানো যায়, তার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে। আইসক্রিমের স্বাদ কেমন লাগছে সাধারণ মানুষের, সেই বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজখবরও করছি। আমার ধারণা, মানুষ মাদার ডেয়ারির আইসক্রিম পছন্দ করছেন।
দপ্তরের এক কর্তার কথায়, কয়েক বছর আগেও মাদার ডেয়ারির আইসক্রিম মাসে গড়ে বিক্রি হত ১৫ হাজার লিটার। কিন্তু নতুন পণ্য ও সরবরাহের কৌশল ঢেলে সাজিয়ে হাতেনাতে ফল মিলছে। এবছর গরমের শুরুতে, অর্থাৎ গত এপ্রিলে প্রায় ৭০ হাজার লিটার আইসক্রিম বিক্রি হয়েছে। মে মাসে তা ছিল প্রায় ৭২ হাজার লিটার। চলতি মাসে ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার লিটারের বেশি বিক্রির হিসেব এসেছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার লিটার আইসক্রিম বিক্রি করেছে মাদার ডেয়ারি। আয়ের অঙ্ক প্রায় ছ’কোটি টাকা। আপাতত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ৯০টি ডিস্ট্রিবিউটরশিপের মাধ্যমে ব্যবসা করছে ভ্যালেন্টাইন। প্রায় চার হাজার ডিলারের মাধ্যমে তা পৌঁছচ্ছে ক্রেতাদের হাতে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রেলেও আইসক্রিম বিক্রি করছে মাদার ডেয়ারি। টেন্ডারের মাধ্যমে আইআরসিটিসি’র হাতে তারা তা তুলে দিচ্ছে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে যে রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেস ছাড়ছে, তার যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে ওই আইসক্রিম। মাস গেলে প্রায় তিন লক্ষ টাকার পণ্য কিনছে আইআরসিটিসি। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, ন্যাচারাল আইসক্রিমের খরচ অনেক বেশি। তাই তার দাম সাধারণ আইসক্রিমের তুলনায় চড়া। তবু বাজারে ন্যাচারাল আইসক্রিমের চাহিদা আশাতীত, দাবি তাঁদের। তাই ব্যবসা বাড়াতে প্রাকৃতিক জিনিসের প্রতি মানুষের এই চাহিদাকেই বাজি রাখতে চায় মাদার ডেয়ারি।