পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবলে দাপট দেখিয়েছে বেলজিয়াম। তবে বড় মঞ্চে নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ তারা। কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের গণ্ডিই টপকাতে পারেনি টিনটিনের দেশ। ইউরো মঞ্চেও দুঃস্বপ্ন তাড়া করতে শুরু করল বেলজিয়ামকে। ৭ মিনিটে রক্ষণের ব্যর্থতায় পিছিয়ে পড়ে ‘রেড ডেভিলস’। ডোকুর মিস পাস কাজে লাগিয়ে গোলে শট নেন বোজেনিক। প্রথম প্রচেষ্টায় তা রুখে পতন আটকান বেলজিয়াম দুর্গপ্রহরী কোয়েন ক্যাসেলস। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে স্লোভাকিয়াকে এগিয়ে দেন ইভান সোয়ার্জ (১-০)।
তবে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে শুরুতেই লিড নিতে পারত বেলজিয়ামও। দু’মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে দ্রুত গতিতে আক্রমণে ওঠেন ডোকু। তাঁর পাস ধরে লুকাকুকে গোলের জন্য বল বাড়ান ডি ব্রুইন। কিন্তু তা জালে জড়াতে ব্যর্থ হন বেলজিয়ামের নাম্বার নাইন। তা অব্যাহত থাকে গোটা ম্যাচ জুড়েই। তবে ভাগ্য এদিন সহায় ছিল না বেলজিয়ামের। দু’টো গোল বাতিল হয় ভার প্রযুক্তির ব্যবহারে। ৫৬ মিনিটে বিপক্ষের গোলে বল পাঠাতে সফল হয়েছিলেন লুকাকু। কিন্তু অফ সাইডের দাবি তোলেন স্লোভাকিয়ার ফুটবলাররা। ভার প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেফারি গোল বাতিল করেন। স্বাভাবিকভাবেই মনোবল ধাক্কা খায় বেলজিয়ামের ফুটবলারদের। কিন্তু এত সহজে হাল ছাড়লে তো হবে না। পরিবর্তন ঘটিয়ে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা চালায় বেলজিয়াম। ৮৬ মিনিটে সুযোগও এসেছিল। লুকাকুর শট জালে জড়াতেই লাফিয়ে ওঠেন বেলিজয়াম কোচ ডোমেনিকো। যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে যে সমতায় ফিরল দল। গ্যালারিতে তখন বেলিজয়াম সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের ঢেউ বইছে। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। কারণ, বলটা হাতে লেগেছিল ওপেন্ডার। ভার প্রযুক্তির সাহায্যে রেফারি তা নিশ্চিত করেন। ফের গোল বাতিল হয়। ম্যাচও বেরিয়ে যায় বেলজিয়ামের হাত থেকে।