নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা। স্থান সল্টলেক স্টেডিয়াম। যুবভারতীর বাঁ দিকে পাশাপাশি দু’টি প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। এটিকে’র প্র্যাকটিসের জন্য প্রথম মাঠটির ফ্লাড লাইট জ্বলে উঠছে। ওয়ার্ম-আপ শুরু করেছেন প্রণয় হালদার-অরিন্দম ভট্টাচার্যরা। অন্যদিকে আলো-আঁধারির মাঝে ফ্রান গঞ্জালেস মুনোজ-সালভা চামোরোদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা। পরে আলাদা করে ডেকে নিয়ে তিনি পরামর্শ দিলেন গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারের সঙ্গে। প্র্যাকটিস সেশনের শেষ দিকে দুই বিদেশি ডিফেন্ডারকে বাদ দিয়ে ডেকে নিলেন ফ্রান গঞ্জালেস মুনোজ, জুলেন কলিনাস, সালভা চামোরো আর বেইতিয়াকে। দেখা গেল, মুনোজ আর বেইতিয়া থ্রু বাড়াচ্ছেন আর ঘাড়ের কাছে কিমকিমা, অরিজিৎ বাগুইদের নিয়ে লক্ষ্যভেদের চেষ্টায় রত সালভা চামোরো ও জুলেন কলিনাস। একটি পর্বে শুভ ঘোষকেও ডেকে নিলেন কোচ। প্র্যাকটিসের এই পর্বে মোরান্তে কিংবা ড্যানিয়েল সাইরাস রাখতে পারতেন মোহন কোচ। কিন্তু সালভাদের মনোবল বাড়াতেই তিনি বিদেশি ডিফেন্ডারদের রাখেননি। অভিষেক বাগুই, কিমকিমাদের টপকে সালভারা গোল করলেন। কিন্তু চার্চিলে আবু বক্কর ও আলিফ আল হাসানরা যখন রক্ষণ সামলাবেন তখন কী কলিনাস, সালভারা বল গোলে ঠেলতে পারবেন? হয়তো এই প্রশ্নের মধ্যেই লুকিয়ে আছে রবিবার আই লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহন বাগান তিন পয়েন্ট পাবে কিনা? কিবু ভিকুনা জানালেন,‘চাপের মুখে গোল করাটাই আসল ব্যাপার। প্রয়োজনে হাফ চান্স থেকে গোল করতে হবে। ছেলেদের সেটাই বলছি।’
রবিবার কল্যাণীতে দেখা যাবে দুই ক্যারিবিয়ান বন্ধুর লড়াই। চার্চিলের স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজা আর মোহন বাগানের স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাস ছোটবেলার বন্ধু। দু’জনেরই জন্ম ত্রিনিদাদ-টোবাগোয়। বৃহস্পতিবার যুবভারতী ছাড়ার সময় ড্যানিয়েল বললেন, ‘আমাদের দু’জনের বাড়ি কাছাকাছিই। ছেলেবেলায় একসঙ্গে খেলেছি। এমনকী মোহন বাগানে সই করার আগে ওর পরামর্শও নিতেও ভুলিনি। ভারতে আসার পর যোগাযোগ আছে। তবে রবিবার আমরা ৯০ মিনিটের জন্য পরস্পরের শত্রু। উইলিস প্লাজা অত্যন্ত বিপজ্জনক ফুটবলার। দু’বছর আগে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলেছিল। সেবার মরশুমের ডার্বিতে প্রচুর গোল নষ্ট করায় লাল-হলুদ সমর্থকদের চোখে খলনায়ক হয়ে ওঠে। কিন্তু আমি জানি, তখন ওর পরিবারে কিছু সমস্যা ছিল। সাংসারিক চাপের প্রভাব পড়েছিল খেলায়। তবে গত বছর থেকেই মুক্ত মনে খেলছে প্লাজা। কোচ ভিকুনা এবং মোরান্তেকেও বলেছি ওকে নিয়ে সতর্ক থাকতে।’ নাওরেমকে এদিন অনেকটাই সুস্থ মনে হয়েছে। তবে কম্বিনেশন প্র্যাকটিসের সময়ে জেসুরাজকে বেশিক্ষণ খেলালেন কোচ। প্র্যাকটিসের মাঝে বেইতিয়াকেও দেখা গেল জেসুরাজের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে।