সংবাদদাতা, ডোমকল: রানিনগরে দু’টি পৃথক ঘটনায় শ্বশুরবাড়িতে জামাই ও বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। শুক্রবার সকালে সেখানকার শেখপাড়ায় যোগেশ বিশ্বাস(৫১) নামে এক ব্যক্তির শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয়। এদিকে, রানিনগরের কাতলামারি রামনগরপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে সুরজিমা বিবি(৩৭) নামে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু’টি ঘটনাতেই মৃতদের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হলেও থানায় এফআইআর করা হয়নি। পুলিস জানিয়েছে, যোগেশ বছর দশেক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে শেখপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তিনি তেমন কোনও কাজ করতেন না। মাঝেমধ্যে নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য ভিক্ষাও করতেন। তাঁর পরিবারের দাবি, যোগেশের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাঁকে মারধর করত। শুক্রবার সকালে যোগেশের মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের তরফে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তোলা হয়। যদিও মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকের দাবি, অসুস্থতার কারণেই জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। রানিনগর থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির দু’জনকে আটক করেছে। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের জামাইবাবু ভূদেব মণ্ডল বলেন, আমার শ্যালককে ওরা প্রায়ই মারধর করত। শুক্রবার ওকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে মেরেছে। যদিও মৃতের স্ত্রী বিশাখা বিশ্বাস বলেন, ওসব মিথ্যে কথা। অসুস্থতার কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
কাতলানি রামনগরপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে ২৪ বছর আগে সুরজিমা বিবির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। অভিযোগ, চারমাস আগে হঠাৎ তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে বসে। এরপর সুরজিমা বিবির উপর অত্যাচার চালানো হয়। শুক্রবার শ্বশুরবাড়ি থেকে সুরজিমা বিবির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার আত্মীয় জেসমিনা খাতুন বলেন, সুরজিমাকে ওঁর স্বামী ও সতীন মিলে মেরে ফেলেছে। ও আত্মহত্যা করেনি। মৃতের ভাসুর সিরাজুল শেখ বলেন, ভাইয়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সুরজিমা খুশি ছিল না। হতে পারে সেজন্য আত্মহত্যা করেছে।