উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
রানাঘাটের আড়ংঘাটা রেল স্টেশন থেকে বেরিয়ে যুগল কিশোর পঞ্চায়েতের দিকে যাওয়ার রাস্তার অবস্থা বর্তমানে সব থেকে খারাপ। এই রাস্তা দিয়েই যেমন সরাসরি রানাঘাটে যাওয়া যায়, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একাধিক স্কুলও রয়েছে এই পথে। যুগল কিশোর মন্দিরে প্রতিদিন কয়েকশো ভক্তের যাতায়াত লেগে থাকে। পূর্তদপ্তরের তরফে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই রাস্তায় প্রাথমিক সংস্কারের কাজ করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ফের অজস্র খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। বর্ষায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ। স্টেশন সংলগ্ন প্রতিটি রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ধুলো কাদা নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ীরাও। এদিন সকালে এই রাস্তাতেই উল্টে পড়ে একটি টোটো। টোটো চালক জখম হতেই বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকার, রমা চক্রবর্তী, দীপক সূত্রধররা বলেন, গত বছর পুজোর সময় থেকে শুনছি রাস্তা সারাই করা হবে। মাঝে একবার গর্ত বুজিয়ে কয়েকটি রাস্তায় পিচের প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। এখন তো রাস্তা আগের থেকেও খারাপ হয়ে গিয়েছে। সন্তানদের নিয়ে হেঁটে বা টোটোয় চেপে রোজ স্কুলে যেতেও হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। পুজোর আর তিন মাস বাকি রয়েছে। তার আগে রাস্তার পুরোপুরি সংস্কার না হলে এলাকাবাসী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। টোটো চালক রঞ্জিত সরকার বলেন, স্টেশন থেকে অনেক সময় বয়স্ক লোকেদের নিয়ে মন্দিরে যেতে হয়। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই রাস্তা দিয়েই দিনভর অটো, বড় লরিও চলছে। ফলে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সন্ধের পর থেকেই তীব্র যানজট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগিয়েও যানজট মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিসও।
অন্যদিকে, আড়ংঘাটা মোড় থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বহিরগাছি, দত্তপুলিয়া, খিসমা পঞ্চায়েতকে জুড়েছে। সবমিলিয়ে কয়েক লক্ষ লোকের কাছে সড়ক পথে রানাঘাট শহরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্টেশনের পূর্বপাড়ের রাস্তা দিয়ে রোগীকে সব্দালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতেও নাজেহাল হচ্ছেন পরিজনরা। অটোচালক সহদেব বিশ্বাসের কথায়, রাস্তার যা অবস্থা, অটোর যন্ত্রাংশ মাঝেমধ্যে বিকল হয়ে পড়ছে। বছরের পর বছর অতিরিক্ত যাত্রী অটোতে চাপিয়েই বেহাল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি।
ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া তো উপায় নেই। কবে সংস্কার হবে আড়ংঘাটার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আড়ংঘাটা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অম্লান ভট্টাচার্য বলেন, রাস্তার অবস্থা যে বেহাল হয়ে রয়েছে, সবটাই আমরা জানি। পূর্তদপ্তরকে (সড়ক) আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। পূর্তদপ্তরের (সড়ক) এক আধিকারিক বলেন, রানাঘাট আড়ংঘাটা সংযোগকারী রাস্তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার আগেই সাড়ানো হয়েছিল। বাকি অংশ সংস্কারের জন্য নির্বাচনী বিধি মিটলেই টাকা বরাদ্দ হয়ে যাবে।