উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
বুধবার পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে জেলা কমিটির ভোট পর্যালোচনা বৈঠক ডাকেন তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। সেই বৈঠকে লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত, জেলা নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাত, জেলা নেতা সুষেন মাঝি সহ রঘুনাথপুরের একাধিক কাউন্সিলার ও নেতা গরহাজির ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ পর্যবেক্ষক তন্ময় ঘোষ বলেন, বাঘমুণ্ডির বিধায়ক বৈঠকে শুরুতে এসেছিলেন। তাঁর অন্য বৈঠক থাকায় তিনি তাড়াতাড়ি চলে যান। সুজয়বাবুর সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে। জেলা সভাপতি সবাইকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন না। তবে এটা নিয়ে অন্য কোনও মানে খোঁজার প্রয়োজন নেই। এদিন মূলত একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি ও লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর্যালোচনা হয়েছে। বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। তা দলনেত্রীকে জানানো হবে। বৈঠকে গরহাজির থাকার বিষয়ে সুজয়বাবু বলেন, হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপের মাধ্যমে সাংগঠনিক সভার বিষয়টি জানতে পারি। হেরে যাওয়ার পর এরকম সাংগঠনিক সভার কোনও গুরুত্ব নেই। নির্বাচনের আগে কিংবা নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন এরকম সাংগঠনিক সভা করার প্রয়োজন ছিল। তাহলে ত্রুটি বিচ্যুতিগুলি ধরা পড়ত। সেটা তো হয়নি। নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নিজে একটা বৈঠক ডেকেছিলাম। তাতে জেলা সভাপতি বিরক্ত হয়েছিলেন। তারপর আর বৈঠক ডাকিনি। সেই সময় কোনও বিতর্ক চাইনি। তিনি আরও বলেন, গত লোকসভা ভোটের চেয়ে এবার ফলাফল ভালো হয়েছে। মার্জিন অনেক কমেছে। তবে কিছু জায়গায় আমরা খারাপ ফলাফল করেছি। সেই জায়গায় কেন খারাপ ফলাফল হয়েছে তা জেলা সভাপতি বলতে পারতেন। তাছাড়া বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই নিজের বুথে হেরেছেন। সেই নেতাদের আর নেতৃত্বে থাকা উচিত নয়।
তৃণমূল নেতা সুষেনবাবু বলেন, দলের জন্মলগ্ন থেকে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছি। অথচ সম্মানের সঙ্গে আমাকে বৈঠকে ডাকা পর্যন্ত হয় না। জেলার কোনও নেতা ফোন করেননি। নির্বাচনে জয় পরাজয় হবেই। অঞ্চলভিত্তিক, ব্লক ভিত্তিক যে সমস্যাগুলি ছিল, তা সেভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়নি।
বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন এক বিধায়ক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি বলেন, দলের অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। বুথের খরচটুকু শেষ মুহূর্তে দেওয়া হয়েছে। এমনকী তিনদিন আগে মদের দোকানগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকেও কারণ হিসেবে তুলে ধরেন ওই নেতা।
কাশীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, নেতৃত্বের মধ্যে অনেকেরই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দলকে ডুবিয়েছে। কাউকে দোষারোপ করার বিষয় নেই। তবে অনেকে ভেবেছিলেন লোকসভা ভোটে ঠিক জিতে যাব। আগে থেকে জিতে যাব ভেবেই উদাসীন ছিলেন। তাছাড়া বিভিন্ন সমাজকে কাছে টানার চেষ্টার স্ট্র্যাটেজিতেও ভুল হয়েছে।